২০১৮ সালে ভাসবে টাইটানিক-২
শিহরণ জাগানো সেই একই রূপে, একই দৈর্ঘ্য-প্রস্থ আর উচ্চতা নিয়ে আসছে নতুন টাইটানিক। অনেকের কাছেই খবরটি পুরনো। তবে নতুন খবর হচ্ছে, সব কিছু ঠিক থাকলে ২০১৮ সালে জলে ভাসবে টাইটানিক-২। যদিও আগে থেকে ঘোষণা ছিল চলতি বছরেই আসবে ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত জাহাজের রেপ্লিকাটি। কিন্তু অপেক্ষার পালা বাড়লো আরো তিন বছর।
সম্প্রতি নির্মানাধীন জাহাজটির বেশকিছু ছবি প্রকাশ করেছেন নির্মাতারা। তাতে দেখা যাচ্ছে সাজ-সজ্জা, বিলাসব্যসন সবকিছুতেই এটি হবে পুরনো টাইটানিকের অবিকল অনুকরণ। তবে শুধু নিরাপত্তার দিকটি হবে আধুনিক। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এটিতে ব্যবহার করা হবে একুশ শতকের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং ন্যাভিগেশন ব্যবস্থা।
টাইটানিকের মতো এটিরও থাকবে হুবহু নয়টি তলা। থাকবে বিলাসবহুল ৮৪০টি কামরা। তবে যাত্রা পথ হবে ভিন্ন। আর সাউদাম্পটন থেকে আটলান্টিকে হয়ে নিউইয়র্কে নয়, এবার টাইটানিক যাবে চীন থেকে দুবাই।
প্রথম টাইটানিকের মালিকের মত টাইটানিক-২ এর মালিক অস্ট্রেলিয়ার ধনকুবের ক্লাইভ পামারও ঘোষণা দিয়েছেন, কোনদিনই জলে ডুববে না টাইটানিক-২। ক্লাইভ আরো বলেছেন, সেই টাইটানিক তৈরি করতে যে সব নারী-পুরুষ কাজ করেছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তৈরি হচ্ছে এই নতুন টাইটানিক।
চীনের জাহাজ নির্মাণকারী সরকারী প্রতিষ্ঠান সিএসসি জিনলিং নতুন এ জাহাজ নির্মাণ করবে বলে ইতোমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে টাইটানিক-২ এর স্বত্বাধিকারী কোম্পানি ব্লু স্টার লাইন প্রোপ্রাইটারি লিমিটেড।
টাইটানিকের পূনরাবৃত্তিতে উৎসাহ-আনন্দের গুঞ্জরন শুরু হয়েছে। কিন্তু এই আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে যায় ১০৪ বছর আগে টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার করুণ কাহিনী।