২২০ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় আরও এক মামলা
গত ১৫ই জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ২২০ জনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলার আবেদন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমান হোসাইন এ মামলার আবেদন করেন। মামলা পরবর্তী শাহবাগ থানার সামনে একটি সংবাদ সম্মেলনে মামলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এ সময় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, রিফাত রশীদ, হামজা মাহবুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মামলায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সৈকতের নাম প্রথমদিকে উল্লেখ করা হয়েছে। নাম উল্লেখ করা ২২০ জনের মধ্যে ২২ জন ছাত্রলীগ নেত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের বলেন, গত ২১ তারিখে আমরা একটি মামলা করেছিলাম সেখানে যারা বাদ পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে এবং যারা আন্দোলনের মূল উস্কানিদাতা তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করে ২২০ জনের নামে আমরা আরেকটি একটি মামলা দায়ের করেছি শাহবাগ থানায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমান হোসেন মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, আইনগত পদক্ষেপের ক্ষেত্রে আপনারা সবাই এগিয়ে আসবেন। আপনারা যে যেভাবে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মামলা দিন।
বাদি আরমান হোসেন বলেন, গত ১৫ই জুলাই শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ নির্মম হামলা এবং আঘাত করেছে, এটা সবাই প্রত্যক্ষ করেছেন। গত ২১ তারিখে একটি মামলা হয়েছে সেখানে কিছু আসামী বাদ পড়ে, কিছু মূল হোতা বাদ পড়ে। এ ছাড়া প্রত্যেক হলে হলে যারা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধা দিয়েছে তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ১৯৮ থেকে ২২০ নম্বরে উল্লিখিতদের বাধাদানকারী হিসেবে আসামি করা হয়েছে। এক সপ্তাহ সময় নিয়ে পর্যালোচনা করে নিজস্ব নিরীক্ষার ভিত্তিতে আসামীদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মুনসুর মানবজমিনকে বলেন, একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অনেক আসামি থাকায় বিষয়টি যাচাই বাছাই চলছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।