৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত এনসিপি: সারজিস আলম

Spread the love

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি আমরা। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যেন সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া যায়।’

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বেলা আড়াইটার দিকে রংপুরের কেরামতিয়া মসজিদে জুমার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আগে রাজনীতি ছিল টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনা, রাতের আঁধারে কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাওয়া উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘এবার জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে, আমরা জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে সংসদে যেতে চাই। রাজনৈতিক দল হিসেবে মাত্র এক মাস হয়েছে এনসিপির। তাই সারা দেশে প্রার্থী মনোনয়নে অবশ্যই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি।’

সারজিস আলম বলেন, ‌‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২৮ থেকে ২৯টি দেশ একসঙ্গে ফাংশন করছে। প্রতিটি রাষ্ট্রের আন্তঃদেশীয় ও আন্তঃঅঞ্চলভিত্তিক আদান-প্রদানের সম্পর্ক থাকবে। তারা দেশের বন্দরগুলো ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন করবে। কিন্তু এগুলো সমতার ভিত্তিতে হতে হবে। রাষ্ট্রদের মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক থাকতে হবে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক হতে হবে শ্রদ্ধা ও সমতার হতে হবে। বিগত এক যুগ ধরে আমরা ডমিনেন্স ফিল করে এসেছি। এই সম্পর্কে কেউ যদি কারও জায়গা থেকে ডমিনেট করার চেষ্টা করে আমরা সেই চোখ রাঙানি আর দেখবো না। আমি মনে করি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, চীন, আমেরিকা, রাশিয়া যে কোনও দেশের সঙ্গে সমতার সম্পর্ক থাকবে। আমরা পারস্পারিক শ্রদ্ধবোধের সম্পর্কের ভিত্তিতে সামনে এগিয়ে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগণের কাছে ফিরে যেতে চাই। আজ থেকে সেই সাংগঠনিক সফর শুরু হয়েছে আমাদের। এই সফরের মধ্য দিয়ে মাঠে-ঘাটে অলিগলিতে মানুষের কাছে যেতে চাই আমরা। আমাদের প্রত্যাশা তুলে ধরতে চাই। আমরা জনগণের কাছে জানতে চাই, তারা কী চায়? জনগণের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে, তাদের ভোটের মাধ্যমে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করাই আমাদের লক্ষ্য।’

সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে জুলাই-আগস্টের রক্তাক্ত নিথর দেহ ছিল, লাশগুলো ছিল, সেগুলো যদি আমাদের সামনে রাখতে পারি তাহলে জুলাইয়ের স্পিরিট থেকে কখনও বিচ্যুত হবো না। জনগণের চাওয়া অনুযায়ী আগামীর বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যেতে পারবো। আমরা জনগণের জন্য কাজ করতে পারলে জনগণ তাদের রায় দিয়ে সংসদে নিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘যারা নতুন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে, তরুণদের নেতৃত্ব যারা পছন্দ করে, যারা সৎ, যোগ্য এমন মানুষকেই আমরা মনোনয়ন দিতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে ঈদ পরবর্তী সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ থেকে। আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত রয়েছি। প্রতিটি জেলা উপজেলায় আমাদের দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম এক মাসের মধ্যেই শুরু হবে। আমাদের সারা দেশে অনেক সমর্থক রয়েছে। আমরা ২৪’র স্পিরিটকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’


Spread the love

Leave a Reply