৪২ বছরে ৬ ব্রিটিশ এমপি হত্যাঃজনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধানে ব্রিটিশ সরকারের পদক্ষেপ এবং প্রসঙ্গকথা
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে নির্বাচিত প্রতিনিধি বা সংসদ সদস্যদেরকে হত্যা, হুমকি এবং তাঁদের উপর হামলার ঘটনা নতুন নয়। বিগত পাঁচ দশকে ব্রিটেনে অর্ধ-ডজনেরও বেশী এম.পি সন্ত্রাসী হামলায় মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন এম.পি হামলা-হুমকির শিকার হয়েছেন এবং হচ্ছেন যা ব্রিটেনের মত একটা সভ্য বাস্তবতায় মেনে নেওয়ার মত নয়। তবে এক কথায় বলা যায় সন্ত্রাসীর কোন জাতধর্ম নেই। সন্ত্রাসী- সন্ত্রাসীই। তাঁদের যথাযথ শাস্তি না হলে সমাজের যেকোন স্থর থেকে এইসব অপরাধ নির্মূল করা অসম্ভব। শুধুমাত্র আইনের ফাঁক দিয়ে সন্ত্রাসিকে মানসিক অসুস্ত বলে ছাড় দিয়ে তাঁদের মন-মানসিকতার যেমন পরিবর্তন করা সম্ভব নয় তেমনি সমাজ থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উপড়ে ফেলাও কঠিন। অবশ্য নব্বইয়ের দশক এবং এর আগের ব্রিটেনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আজকের মত ছিলনা। যুগে যুগে নতুন নতুন ইস্যু এবং চাহিদার মতই ব্যতিক্রমী প্রেক্ষাপট এবং ক্ষেত্র তৈরী হয়। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান নাইফ ক্রাইম বা ছুরি”দ্বারা সংঘটিত অপরাধ রোধে নতুন আইন প্রনয়নের পাশাপাশি বিশেষ করে লন্ডনের পোস্ট কোড গ্যাং রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, যথাযথ গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহনের ক্ষেত্র সৃষ্টি করে অপ্রাপ্তবয়স্কদেরকে সমাজ, পারিবারিক এবং ব্যাক্তিগত জীবনে নাইফ ক্রাইমের নেতিবাচক প্রভাব অবহিতকরন, সামাজিক সম্প্রীতি সমুন্নতকরণ এবং মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সামাজিক এবং পারিবারিক ক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। বলা যায়, ব্রিটেনে নাইফ ক্রাইম বা ছুরি”দ্বারা সংঘটিত অপরাধ একটি নিত্যনৈমিত্বিক ব্যাপার। এ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বিগত এক বছরে শুধু ইংল্যান্ডে ৪২,৫৪৯ টি নাইফ ক্রাইমজনিত অপরাধ তালিকাভুক্ত হয়েছে। শুধুমাত্র লন্ডনে ১০,১৫০ টি নাইফ ক্রাইম সংঘটিত হয়েছে। গত এক বছরে পূর্ব ইংল্যান্ডে নাইফ ক্রাইম ১২০% বৃদ্ধি পেয়ছে। বিগত ১২ মাসে (মার্চ ২০২১ পর্যন্ত) পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী নাইফ ক্রাইমের দ্বারা ২২১টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। নাইফ ক্রাইমের দ্বারা ১৭ বছরের নিচে মোট ২৩টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ১৮,৫৫৩ নাইফ এবং এ জাতীয় অস্র জব্দ করা হয়েছে। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ২০১০/১১ সালের তুলনায় চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নাইফ ক্রাইম ২৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।
নাইফ ক্রাইম বা ছুরি”দ্বারা সংঘটিত অপরাধ ব্রিটেনে একটি ক্রমাগত উদ্বেগের বিষয় এবং তরুণ এবং সুবিধাবঞ্চিতদের উপর অসম প্রভাব ফেলে। সরকার, স্থানীয় কাউন্সিল এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিকারের চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু যথাযথ প্রতিকার দূরুহ ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত ১৫ অক্টোবর শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লে-অন-সিতে অবস্থিত স্থানীয় একটি চার্চে ছুরিকাঘাতে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের সংসদ সদস্য ডেভিড অ্যামেস নিহত হয়েছেন। ৬৯ বছর বয়সী ডেভিড অ্যামেস কে অজ্ঞাত ব্যক্তি একাধিকবার ছুরিকাঘাত করার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিবিসি সহ সকল ব্রিটিশ মিডিয়ায় ফলাও করে প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে তার কার্যালয় ও পুলিশ সূত্রে জানিয়েছিল অ্যামেসকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে হামলাকারী। এই ঘটনায় এক সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫ সন্তানের জনক ডেভিড এমিস এম পি লে-অন-সি’র বেলফায়ার মেথোডিস্ট চার্চে তিনি হামলার শিকার হন। ব্রিটিশ পুলিশ এই হামলাকে উগ্রবাদী সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যা দিয়েছে।
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ ১৯৮৩ সালে প্রথম বেসিল্ডন থেকে এবং ১৯৯৭ সাল থেকে এসেক্সের সাউথহেন্ড ওয়েস্টের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এসেক্স পুলিশ জানায় লে-অন-সি’র ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে বলে ব্রিটিশ পুলিশ জানায়। কিছুক্ষণ পরই এক পুলিশ ২৫ বছর বয়সের ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে একটি ঘটনাস্থল একটি ছুরা উদ্ধার করে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি কারও জন্যই আনন্দ বয়ে আনেনা। সারা ব্রিটেন জুড়ে হাজার হাজার জন প্রতিনিধি (এম,পি, কাউন্সিলর, এসেম্বলি মেম্বার, মেয়র) জনগণের সেবা প্রদানের জন্য প্রতি সপ্তাহে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সার্জারি/ অফিস পরিচালনা করে থাকেন। সরকার যদি রাস্ট্রের একজন আইনপ্রনেতার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে না পারেন তাহলে সাধারন নাগরিকগণ কতটূকূ নিরাপদ।
ছুরিকাঘাতে ব্রিটেনে এম পি হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৬ সালের জুন মাসে ব্রিটেনের লেবার পার্টির নারী সংসদ সদস্য জো কক্সকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। উত্তর ইংল্যান্ডে তার নির্বাচনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় এবং অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে, লাইব্রেরির বাইরে জো কক্স তার নির্বাচনী এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেখানে বিবাদে জড়িয়ে পড়া দুই ব্যক্তির ঝগড়া থামাতে যান কক্স। এসময় ওই ব্যক্তি এম পি জো কক্স কে গুলি ছোঁড়ে।
জো কক্স ফুটপাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে গেলে আততায়ী তাকে ছুরিকাঘাত করে। অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ বলেন জো কক্সকে লক্ষ্য করেই আততায়ী গুলি চালায়।
জো কক্স ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি বেশ কিছু দাতব্য সংস্থার জন্য কাজ করতেন। ৪১ বছরের এই সংসদ সদস্য বিবাহিত এবং তার দুই সন্তান রয়েছে।
এছাড়া, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার লন্ডনের হামস্টিড এন্ড কিলবার্ন এলাকা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়িতে প্রতিহিংসামূলক হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে টিউলিপ এ খবর জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডনে তার বাড়ির সামনে পার্ক করে রাখা গাড়িতে হামলা চালানো হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে টিউলিপ জানান, গাড়ির দরজার গ্লাস ভেঙে রাজনৈতিক বার্তা লেখা চিরকুট রেখে যায় হামলাকারীরা। তবে ভেতর থেকে কিছুই খোয়া না যাওয়ায় এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা বলেই মনে করছেন তিনি। ঘটনার পর হাউজ অব কমন্সের স্পিকার লিন্ডসে হোলেসহ বিভিন্ন রাজনীতিক ও লেবার পার্টির শীর্ষ নেতারা এই হামলার নিন্দা জানান।
ব্রিটেনের রয়েল সোসাইটি অব আটর্সের ফেলো টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সালে প্রথমবার ব্রিটিশ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। লন্ডনে জন্ম নেওয়া ক্যারিয়ার পলিটিশিয়ান টিউলিপ ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে যুক্ত হন ব্রিটিশ রাজনীতিতে। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
অধ্যাপক ড. শফিক সিদ্দিক ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা দম্পতির সন্তান টিউলিপ দুই সন্তানের জননী। ব্রিটেনের সর্বশেষ নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হন ৩৯ বছর বয়সী এই সংসদ সদস্য।
টিউলিপের গাড়িতে হামলার ঘটনার খবর প্রকাশের পর তার নিরবাচনী এলাকার মানুষেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হ্যামস্টেডের বাসিন্দারা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, জো কক্সের মতো ব্রিটিশ এমপির কী ঘটেছিল তা আমরা ভুলে যাইনি। আমরা টিউলিপের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
শুধু তাই নয়, ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর নিজের নির্বাচনী আসনে এক বাঙালি স্টকারের ১৮ মাস ধরে অনবরত হয়রানি এবং হত্যার হুমকির মুখে সময় পার করেছিলেন লেবার পার্টির সিনিয়র এমপি রুশানারা আলী। মাইল এন্ডের এক বাঙালি স্টকার মেসেজ এবং ইমেইলে এমপি রুশানারা আলীকে প্রয়াত লেবার এমপি জৌ কক্স স্টাইলে হত্যার হুমকি দিতেন।
পরে স্টকারের অব্যাহত হুমকির মুখে ভীত হয়ে তাঁর সার্জারি বেথনাল্গ্রিন এলাকা থেকে পাল্টামেন্টে স্থানান্তর করতে বাধ্য হন তিনি। পরবর্তীতে লন্ডনের স্নেয়ার্সব্রোক ক্রাউন কোর্টের শোনানিতে এসব তথ্য বেড়িয়ে আসে।
কোর্ট জানায়,হোসাইন শাহ নামে ৪১ বছর বয়সী এই স্টকার বেথনালগ্রীনের বাসিন্দা। হাউসিং সমস্যা নিয়ে প্রথমে এমপি রুশানারা আলীর সার্জারিতে গিয়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৯০টি মেসেজে এসব হুমকি দিয়েছেন হোসাইন শাহ।
বিগত ২০১০ সালের ১৪ মে পূর্ব লন্ডনের ইস্টহাম নিজ সংসদীয় এলাকার বেক্টন গ্লব লাইব্রেরীর সার্জারিতে ছুরিকাহত হন সাবেক মন্ত্রি, স্টিফেন টিমস এম পি। ২১ বছর বয়সী রুওসন আরা নামে এক মহিলা স্টিফেন টিমস এম পিকে হত্যার উদ্যশ্যে ছুরিকাঘাত করে। ৬ ইঞ্চি লম্বা ছুরি দিয়ে ওই মহিলা তাঁর পেটে দুইবার আঘাত করে। পরবর্তীতে লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালত মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা প্রদান করে।
২০০০ সালে লিবারেল ডেমোক্রেট এম পি নাইজেল জন্স তাঁর সংসদীয় এলাকায় গ্লস্টারসায়ারের দলীয় অফিসে সার্জারিতে হামলার শিকার হন। ৫১ বছর বয়স্ক এম পি নাইজেল জন্স এই হামলায় গুরুতর আহত হন এবং তার সহযোগী ৩৯ বছর বয়সী এন্ড্র পেনিংটন হামলায় নিহত হন। পুলিশের ভাষ্যমতে, রবার্ট আসমান নামের হামলাকারী দুই ফুট লম্বা একটি সামুরাই তরবারি নিয়ে নাইজেল জন্স এর উপর হত্যার উদ্যেশ্যে হামলা চালায়।
১৯৯০ সালের ৩০ জুলাই, তথকালিন প্রধানমন্ত্রী মারগারেট থেচারের ঘনিস্টজন, রক্ষনশীল দলের এম পি ইয়ান গও কে তাঁর ইস্ট সাসেক্সের বাসায় গাড়ি বোমা হামলা করে হত্যা করে আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (আই আর এ)। আই আর এ পরবর্তীতে হত্যার দ্বায় স্বীকার করে যে তিনি নর্দার্ন আয়ারল্যন্ড এর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেপড পলিসিকে সাপোর্ট তাঁকে হত্যা করে।
১৯৮৪ সালের ১২ অক্টোবর, তথকালিন প্রধানমন্ত্রী মারগারেট থেচারের আরেক ঘনিস্টজন, এন্থনি বেরী এম পি কে কনজারভেটিব পার্টির কনফারেন্সের সময় আইরিশ রিপাবলিকান আর্মী (আই আর এ) গ্র্যান্ড ব্রাইটন হোটেলে বোমা হামলায় হত্যা করে। প্রধানমন্ত্রী মারগারেট থেচার বোমার আঘাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান কিন্তু এন্থনি বেরী এম পি হামলায় নিহত হন এবং আরও ৩১ জন আহত হন।
১৯৮১ সালের ১৪ই নভেম্বর, আলস্টার ইউনিয়নিস্ট এম পি রবার্ট ব্রাডফরড কে তাঁর বেলফাস্টের নিজ নির্বাচনী এলাকার সার্জারিতে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে আইরিশ রিপাবলিকান আর্মী (আই আর এ) এই হত্যর দ্বায় স্বীকার করে।
১৯৭৯ সালের ৩০ মার্চ, কনজারভেটিব দলের নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড বিষয়ক সাবেক স্পক্সপারসন, আইরী নিব এম পিকে গাড়ি বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় বোমা হামলা করা হয়। আইরিশ ন্যশনাল লিবারেশন আর্মি এই বোমা হামলার দ্বায় স্বীকার করে।
সারাদেশে কাউন্সিলর, এসেম্বলী মেম্বার, এম পি সহ সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগনের সমস্যা এবং তা সমাধানের জন্য নিয়মিত সার্জারি পরিচালনা করে থাকেন। ডেভিড এমিস এম পির হত্যাকাণ্ডের পর ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ সহ ব্রিটিশ মিডিয়ায় একটাই উচ্চারণ যে, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অবিলম্ভে সরকার প্রয়ুজনীয় আইন প্রণয়নসহ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
লেখকঃ
ডক্টর আনিছুর রহমান আনিছ
আইন গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী
বিশেষ প্রতিনিধিঃ সাপ্তাহিক বাংলা সংলাপ