মহাশূন্য: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে চলচ্চিত্রের শুটিং

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ মহাশূন্যে প্রথম ছায়াছবির শুটিং শেষ করে রাশিয়ার একটি সিনেমা দল নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে।

ক্লিম শিপেনকো এবং অভিনেতা ইউলিয়া পেরেসিল্ড আন্তর্জাতিক মহাশূন্য স্টেশন আইএসএস ত্যাগ করে কাজাখস্তানে অবতরণ করেন। তাদের পৃথিবীতে ফিরে আসার দৃশ্যটি আরেক ফিল্ম ক্রু ক্যামেরায় ধারণ করেন।

তবে চ্যালেঞ্জ নামের এই ছবির শুটিং চলাকালেও কম নাটক হয়নি।

গত শুক্রবার তার থ্রাস্টারে সমস্যা দেখা দিলে মহাশূন্য স্টেশনটি হঠাৎ করেই একদিকে কাত হয়ে পড়ে।

এর ফলে কিছু সময়ের জন্য শুটিং বন্ধ হয়ে যায়।

আইএসএস থেকে পাঠানো এক টুইটার পোস্টে মিজ পেরেসিল্ড তার খোলা চুলের ছবি পোস্ট করেন।

ভরশূন্যতায় তোলা এই ছবি দিয়ে ছায়াছবিটি সত্যি মহাশূন্যে ধারণ করা হয়েছে কিনা সেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নস্যাৎ করা হয়।

চ্যালেঞ্জার ছবিটি বলা চলে মহাশূন্য নিয়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতার অংশ।

হলিউড তারকা টম ক্রুজও একটি ছবিতে অংশ নিচ্ছেন। মার্কিন মহাশূন্য সংস্থা নাসা এবং ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স এই প্রকল্পের সাথে জড়িত।

মিজ পেরেসিল্ড এবং মি. শিপেনকোকে বহনকারী মডিউলটি কাজাখস্তানের সময় দুপুরবেলা পৃথিবীতে অবতরণ করে।

পৃথিবীতে ফিরে আসার পর ইউলিয়া পেরেসিল্ডকে বরণ করা হচ্ছে।

তবে মহাশূন্যে ছবি চিত্রায়নের সময় আরও কারিগরি সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

পাঁচই অক্টোবর যখন ফিল্ম ক্রুকে নিয়ে সয়ুজ রকেটটি আইএসএস গিয়ে পৌঁছায় তখন তার স্বয়ংক্রিয় ডকিং সিস্টেমটি বিকল হয়ে পড়ে।

তখন অধিনায়ক ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে রকেটটিকে আইএসএস-এর সাথে সংযুক্ত করেন।

এখন এই ছবির পরিচালক এবং অভিনেতাকে আগামী ১০ দিন ধরে রাশিয়ার স্টার সিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থাকতে হবে, পৃথিবীতে ফিরে আসার পর প্রয়োজনীয় শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষার জন্য।

ছায়াছবি চ্যালেঞ্জের গল্প সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায় না। তবে আইএসএস-এ ছবির যে অংশটির শুটিং হয়েছে তাতে মিজ পেরেসিল্ড একজন ডাক্তারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যেখানে দেখা যায় তিনি একজন কসমোনটের চিকিৎসা করেন। কসমোনটের ভূমিকায় অতিথি শিল্পী ছিলেন মি. নভিৎস্কি, যিনি বেশ কিছুদিন ধরে ঐ স্টেশনে কাজ করছেন।

মহাশূন্যে ছায়াছবি শুটিং করার এই আইডিয়াটি এসেছে রুশ মহাশূন্য সংস্থা রসকসমস-এর প্রধানের মাথা থেকে।


Spread the love

Leave a Reply