মিতুর এক হত্যাকারী আটক, বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার তিন সহস্রাধীক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে পুলিশ কমিশনার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, মিতু হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া তিনজনের একজন হচ্ছেন আটক এই যুবক।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার নগরীর শীতল ঝরণা এলাকা থেকে মিতু হত্যায় জড়িত সন্দেহে শাহ জামান ওরফে রবিন (২৮) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তার বাবার নাম মো. শাহজাহান, বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে।
সিএমপি কমিশনার বলেন, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ মিলিয়ে আমরা অনেকটাই নিশ্চিত, আটক শাহ জামান ওরফে রবিন এসপির স্ত্রী মিতু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিল। পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও কিছু ফুটেজ মিলিয়ে যাচাই করা হচ্ছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান সিএমপি কমিশনার।
গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে পুলিশ কমিশনার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দু্র্বৃত্তরা। এসপি পদে পদোন্নতি পাওয়ার আগে বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা হিসেবে বেশ কয়েকটি জঙ্গি বিরোধী অভিযানে সাফল্য অর্জন করেন। এ কারণে তার স্ত্রী হত্যায় জঙ্গিরা জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি বিরোধী সাঁড়াশি অভিযানের প্রথম ২৪ ঘন্টায় মোট ৩ হাজার ১৯২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার পুলিশ সদর দফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়। এতে আরো বলা হয়, গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৩৭ জন জঙ্গি রয়েছে বলেও জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
গ্রেফতার জঙ্গিদের কাছ থেকে ১টি শুটারগান, ১ রাউন্ড গুলি, ৫০০ গ্রাম গান পাউডার, ১৫টি ককটেল, ২১টি জেহাদী বই এবং ১৫টি ব্যক্তিগত ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি আরো জানানো হয়, পরোয়ানা তামিল, নিয়মিত মামলা এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার মামলায় মোট ৩১৫৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে ১৮৬১ জন, নিয়মিত মামলায় ৯১৭ জন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার মামলায় ১৯ জন এবং মাদক উদ্ধার মামলার ৩৫৮ জন আসামি রয়েছে।