বোতলে সুখ নেই!
পৃথিবীতে মদ্যপানে ডেনমার্কের নারী পুরুষ শীর্ষে
সর্বনিম্নে বাংলাদেশের নারী ও পাকিস্তানে!র পুরুষ!
সাজু আহমদঃ সাম্প্রতিক পৃথিবীর সকল দেশের গবেষকরা একমত হয়েছেন যে মদ পান করার নিরাপদ কোন মাত্রা নেই! ব্রিটেনে যারা মনে করতেন দিনে এক গ্লাস ওয়াইন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাদের জন্য দুঃসংবাদ এই যে, পৃথিবীর ইউকে সহ ১৯৫ দেশে ১৯৯০ সাল থেকে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত ১৫ বছর থেকে ৯৫ বছর পর্যন্ত নারী ও পুরুষের উপর এক বিশ্বব্যাপী গবেষণায় দেখা যায় এলকোহলের কোন নিরাপদ মাত্রা নেই । এমনকি দিনে একবার মদ পান করলেও তা ক্যানসার সহ বিভিন্ন জটিল রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ” নামক গবেষণার অন্যতম গবেষক, ইম্পেরিয়াল কলেজ এর গবেষক অধ্যাপিকা সানিয়া সাক্সেনা বলেন- দিনে একবার মদ্যপানের মাধ্যমে স্বাস্থঝুঁকি শুরু হয় এবং মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে তা ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পায়। ইংল্যান্ডের চিফ মেডিক্যাল অফিসার অধ্যাপক ডেম শালি ডেভিস বলেন- যে কোন মাত্রার এলকোহল ক্যানসার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
যদি ও ব্রিটেন সরকার সর্বোচ্চ এলকোহলের মাত্রা সপ্তাহে ১৪ ইউনিট রেখেছে কিন্তু এ ব্যাপারে বিলেতের গবেষকরা জনগণের স্বাস্থ বাঁচাতে এলকোহলের মাত্রার ব্যাপারে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ সপ্তাহে সামান্য মাত্রার মদ হার্টের জন্য সামান্য উপকারী হলেও সামগ্রিক অসুখ বিবেচনায় যে কোন মাত্রার এলকোহলই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে গবেষণায় প্রতীয়মান হয়।
রিপোর্টে দেখা যায় পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মদ্যপান করে ডেনমার্কের নারী ও পুরুষেরা যা যথাক্রমে ৯৫ ভাগ ও ৯৭ ভাগ এবং সুখের বিষয় যে পৃথিবীতে সবচেয়ে কম মদ্যপান করে বাংলাদেশের নারী (দশমিক ৩ ভাগ) ও পাকিস্তানের পুরুষ(দশমিক ৪ ভাগ)। অপরপক্ষে বিশ্বে দিনে সবচেয়ে বেশি মদ্যপান করে রুমানিয়ার পুরুষ (দিনে ৮ বার) এবং ইউক্রেন এর নারীরা (দিনে ৪ বার)। অন্যদিকে ব্রিটেনে পুরুষরা গড়ে তিনবার শরাব পান করে যা বিশ্বের .১৯৫ টি দেশের মধ্যে ৬২ তম এবং ব্রিটেনে মহিলারা ও তিনবারের বেশি মদ্যপান করে থাকেন যা বিশ্বে অষ্টম।
সারা পৃথিবীতে তিনজনে একজন, অথবা প্রায় ২.৮ বিলিয়ন মানুষ মদ পান করে থাকে যার মধ্যে ২৫ ভাগ নারী এবং ৩৯ ভাগ পুরুষ। গবেষণায় আরো দেখা যায় .১৯১৬ সালে মদজনিত কারণে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন মানুষ মারা যান।
ইন্টারনেট ঘেটে দেখা যায়, .২০১৬ সালে মদজনিত অপরাধ ও স্বাস্থঝুঁকির কারণে ব্রিটেনে খরচ হয় প্রায় ৫২ বিলিয়ন পাউন্ড।