টাঙ্গাইল-৬: ব্যারিস্টার আশরাফ তারুণ্যের মডেল হতে চান
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃএকজন আশরাফুল ইসলাম আশরাফ।যাকে বলা যায় তারুণ্যের মডেল ।অত্যন্ত সৎ ও আদর্শবান একজন রাজনীতিবিদ। পেশায় একজন ব্যারিস্টার । বর্তমান কর্মস্থল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট । তরুন এই রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব আইন পেশায় পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। আর লন্ডন থেকেই তার কর্মজীবন শুরু সলিসিটর হিসেবে। জনাব আশরাফ অত্যন্ত দক্ষ সচেতন নিষ্ঠাবান একজন মানুষ হিসেবে লন্ডনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। তার কর্মস্থল ছিল পূর্ব লন্ডনের অত্যন্ত জনপ্রিয় “হাফিজ এন্ড হক সলিসিটর” ফার্মে । পাশাপাশি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ও আওয়ামী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বটিও পালন করেন তিনি। পেশায় যেমন ছিলেন সৎ ও আদর্শবান তেমনি এই তরু্নের রাজনীতিতেও ছিলেন সক্রিয় ভূমিকা। তার সততা ও আদর্শের কারনে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের একজন বিচাপতির রোষানলে পড়তে হয়েছে । সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে মানহানিকর উক্তির অভিযোগ এনে ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে ব্যারিস্টার আশরাফ কে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি তখন স্বপরিবারে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। বিচারপতি মানিকের দায়ের করা মামলার ধারাগুলো জামিনযোগ্য হলেও ব্যারিস্টার আশরাফকে তখন কারাগারে পেরন করা হয় । ২০১২ সালের ১২ আগস্ট ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামসহ ৪ জনকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালের ৭ জুন লন্ডনে এটিএন বাংলার একটি টিভি টকশো’তে ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী সম্পর্কে মানহানিকর উক্তি করেন,।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী এম আশরাফুল ইসলাম আশরাফ টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার ও নাগরপুর) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতি দিনই তিনি এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। তুলে ধরছেন বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।
আইন পেশায় নিয়োজিত তরুণ এ ব্যারিস্টার দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জনমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সাবেক এমপি ব্যারিস্টার শওকত আলী খানের আশীর্বাদপুষ্ট আশরাফ দেলদুয়ার ও নাগরপুরের ‘তারুণ্যের মডেল’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
দেলদুয়ার থানার লাউহাটী ইউনিয়নের কাতুলী গ্রামে জন্ম নেওয়া আশরাফ তার পরিবারের বড় সন্তান। স্ত্রী ডা. মাসুরা আক্তার ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে কর্মরত। প্রাথমিক শিক্ষাজীবন থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেয়ালে টানানোর মাধ্যমে তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় রাজনীতি করার অভিপ্রায় সৃষ্টি হয়। এরপর ধীরে ধীরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আকৃষ্ট হয়ে দেলদুয়ারের এ কৃতী সন্তান বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করে তৃণমূল থেকে উঠে আসেন মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়।
ব্যারিস্টার আশরাফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো দেশ ও এলাকার জনগণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে চাই। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকব। আর আমাকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে নির্বাচিত করা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার এলাকার উন্নয়নের কাজে সাহায্য করতে পারব। নাগরপুরের দেলদুয়ার এলাকায় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে সত্যিকারের পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তরুণ এ আইনজীবী বলেন, ত্রিশ বছর ধরে এলাকার তৃণমূল মানুষের সঙ্গে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী ও দল চাইলে নির্বাচনে অংশ নেব। সজ্জন, সদালাপি এবং নতুন প্রজন্মের অহঙ্কার আশরাফের এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এ আসনের বর্তমান এমপি খন্দকার আবদুল বাতেন। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম ও আহসানুল ইসলাম টিটু।