লুতফুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ নেই, বন্ধ হলো তদন্ত
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃলন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মেয়র লুতফুর রহমানের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও করদাতাদের অর্থের অপব্যবহারের কোনও প্রমান পায়নি স্বাধীন তদন্ত দল। এর ফলে বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল।
২০১৫ সালে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে মেয়ররের পদ হতে লুতফুর রহমানকে অপসারণের পর ‘ক্লিয়ার আপ প্রজেক্ট’ এর আওতায় এ তদন্ত শুরু হয়েছিল। তদন্তকারীরা ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত লুতফুর রহমানের দায়িত্বকালে কাউন্সিলের যুব পরিষেবা, অনুদান ও মানবসম্পদ বিভাগে তদন্ত পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) কাউন্সিলের মুখপাত্র এ তদন্ত বন্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বৈঠকে এই প্রকল্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে সেপ্টেম্বরে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, লুতফুর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতির এমন কোনও সুত্র তারা খুঁজে পায়নি। দীর্ঘ এক বছর তদন্ত শেষে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড উপসংহারে পৌঁছায় যে, লুতফুর রহমানের বিরুদ্ধে বিচার করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ পায়নি পুলিশ। ফলে নির্বাচনি আদালত দুর্নীতি ও বেআইনি চর্চার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করলেও তার বিরুদ্ধে কোনও ফৌজাদারি অভিযোগ আনা হয়নি।
২০১০ সালে বারার ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নির্বাহী মেয়র নির্বাচিত হওয়া লুতফুর রহমানের জন্ম বাংলাদেশের সিলেটে। শৈশবে মা-বাবার সঙ্গে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে আসেন ও লন্ডনে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। তার পরিবার লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস অঞ্চলের বাসিন্দা। লুতফুর রহমান বো অঞ্চলের ম্যানর প্রাইমারি স্কুলে পড়াশুনা করেছেন। স্কুল শেষ করার পর তিনি সিটি ইউনিভার্সিটি লন্ডনে আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেন এবং পাস করে আইন পেশায় যুক্ত হন। পরে তিনি সক্রিয় হন রাজনীতিতে। দ্বিতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৫ সালে নির্বাচনি কোর্টের রায়ে বরখাস্ত হন সাবেক মেয়র লুতফুর রহমান। মামলার রায়ে নিলাম হয় বাড়ি। ওই সময় তাকে বরখাস্ত করা হলেও তার বিরুদ্ধে সাজা দেয়নি কোর্ট। কোর্টের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণে তদন্তে নামে পুলিশ।