কাঠের ব্যারেলে চেপে অ্যাটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়ার অভিযানে নেমেছেন এক ফরাসি

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ পিপা সাইজের এক ক্যাপসুলে চড়ে ফ্রান্সের এক লোক অ্যাটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিতে শুরু করেছেন।

জ্যঁ-জ্যঁক সাভঁর বয়স ৭১ বছর। তিনি ক্যানারি আইল্যান্ডের এল হিয়েরো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে তিনি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছুতে পারবেন বলে মি. সাভঁ আশা করছেন।

রিইনফোর্সড প্লাইউড দিয়ে তৈরি এই ক্যাপসুলের মধ্যে রয়েছে ঘুমানোর জন্য একটি বাঙ্ক বিছানা, এবং একটি রান্না ও মালামাল রাখার জায়গা।

যাত্রাপথের পুরোটা জুড়ে তিনি মার্কার ফেলতে ফেলতে যাবেন যা দিয়ে অ্যাটলান্টিকের স্রোতের আনাগোনা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।

মি. সাভঁর এই অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে তার ফেসবুক পাতায় বিস্তারিত জানানো হচ্ছে। এবং সর্বশেষ বার্তায় বলা হচ্ছে এই অভিযানের সবকিছু ঠিকঠাক আছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির সাথে এক সাক্ষাৎকারে জ্যঁ-জ্যঁক সাভঁ জানান, “আবহাওয়া চমৎকার। এখন তিন ফুট উঁচু ঢেউ হচ্ছে এবং আমি ঘণ্টায় ২-৩ কিলোমিটার বেগে এগুচ্ছি … রোববার পর্যন্ত হাওয়া গতিবেগ অনুকূল থাকবে বলে আশা করছি।”

মি. সাভঁ ফরাসি সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত প্যারাট্রুপার। তিনি পার্ক রেঞ্জার এবং পাইলট হিসেবেও কাজ করেছেন।

অ্যাটলান্টিকের স্রোত বেয়ে তার এই অদ্ভুত জাহাজটি অনায়াসেই ৪৫০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ক্যারিবিয়ানে পৌঁছুতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন।

তার এই পিপাটি লম্বায় তিন মিটার আর পাশে ২.১০ মিটার। সব মিলিয়ে এই ক্যাপসুলে থাকার জায়গা রয়েছে ছয় স্কয়ার মিটার।

ক্যাপসুলের চারদিকে রয়েছে জানালা। মেঝেতেও একটি পোর্ট-হোল রয়েছে যা দিয়ে তিনি জলে ভেসে বেড়ানো মাছ দেখতে পাবেন।

এই অভিযানের জন্য মি. সাভঁ’র খরচ পড়েছে ৬৮,০০০ ডলার। যেগুলো মূলত জোগাড় করা হয়েছে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা হিসেবে।


Spread the love

Leave a Reply