বৃটিশ সরকারের সঙ্গে একমত শামীমার পিতা আহমেদ
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের সঙ্গে একমত পোষণ করলেন আইএসে যোগ দেয়া শামীমা বেগমের পিতা আহমেদ আলী (৬০)। তার কন্যা শামীমার বৃটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার সঙ্গে একমত পোষণ করে আহমেদ আলী বলেছেন, তিনি সরকারের পক্ষে আছেন। কারণ, তার জিহাদী মেয়ে ২০১৫ সালে বৃটেন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় যেয়ে ডাচ নাগরিক ও আইএস যোদ্ধা ইয়াগো রিডিজককে বিয়ে করার জন্য কোনো অনুশোচনা দেখায় নি।
আহমেদ আলী মেইল অন সানডে’কে বলেন, আমি জানি বৃটিশ সরকার তাকে ফেরত আনতে চায় না। তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি জানি সে সেখানে আটকা পড়ে আছে। এমনটা হয়েছে, সে যে কাজ করেছে তার জন্য।
আহমেদ আলী আরো বলেন, আমি বলবো না (বৃটেনে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত) ঠিক না ভুল। তবে যদি দেশের আইন বলে, তার নাগরিকত্ব বাতিল করা যথার্থ তাহলে আমি তাতে রাজি আছি।
উল্লেখ্য, আহমেদ আলী ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ থেকে বৃটেনে যান। সেখানে তিনি টেইলারিং শুরু করেন। বর্তমানে অবসরে আছেন। তিনি বৃটেনে যাওয়ার সাত বছর পরে বিয়ে করেন আসমাকে। তিনিই শামীমার মা। তারা বসতি গড়েছেন পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিনে। তাদের রয়েছে চারটি মেয়ে। তার মধ্যে সবচেয়ে ছোট শামীমা।
আহমেদ আলী ১৯৯০ এর দশকে ঘন ঘন বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি পরিবার থেকে দূরে থেকে অনেকটা সময় কাটান। দ্বিতীয় বিয়ে করেন। শামীমার সঙ্গে তার সর্বশেষ দেখা হয় ২০১৫ সালের মার্চে। তখন তিনি বৃটেন সফরে গিয়েছিলেন। এরপরেই শামীমা সিরিয়ায় পালিয়ে যান।
আহমেদ আলী বলেছেন, তিনি কখনো তার মেয়ের মধ্যে এমন কোনো লক্ষণ দেখতে পান নি, যা দেখে মনে হতে পারে সে উগ্রবাদী হয়ে উঠছে। এমনকি তাকে দেখে অন্য রকম কিছুই মনে হয় নি। তার দাবি, শামীমা বরং ইসলামিক ধ্যানধারণায় নেই বলেই মনে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যদি শামীমা অন্ততপক্ষে স্বীকার করতো যে, সে ভুল করেছে, তবে তার জন্য আমার দুঃখবোধ হতো। অন্যরাও তার জন্য দুঃখবোধ করতেন। কিন্তু শামীমা তার ভুল মেনে নেয় নি।