আইএস-এ যোগ দেওয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি পরিবারের ১২ সদস্যই মৃত
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃজঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া ব্রিটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক পরিবারের ১২ সদস্যের সবাই নিহত হয়েছে। চার বছর আগে পূর্ব ইংলান্ডের লিউটনে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে এই পরিবারের সদস্যরা সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়ে আইএস-এ যোগ দেয়।
আইএস-এ যোগ দেওয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি পরিবার
২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশে আসে প্রায় তিন দশক ধরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান। একমাস অবস্থানের পর যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ১১ মে ইস্তাম্বুল পৌঁছায় তারা। পরবর্তী বিমানে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল পরিবারটি। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আসা আত্মীয়দের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ওই পরিবারের নিখোঁজের ঘটনায় তারা বিধ্বস্ত আর এভাবে নিখোঁজ হওয়া তাদের চরিত্রের সঙ্গে মানানসই নয়।
যুদ্ধাঞ্চল থেকে ব্রিটেনে আসা খবরে জানা গেছে, ‘মান্নান পরিবার’ নামে পরিচিত পরিবারটির এক থেকে এগারো বছর বয়সী তিন শিশুসহ সাতজন এক বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। বাকি তিন পুরুষ সদস্য মুখোমুখি যুদ্ধে নিহত হয়েছে। এছাড়া পরিবারের বয়স্ক দুই ব্যক্তি বাবা মুহাম্মদ মান্নান এবং তার স্ত্রী মিনেরা এক সময়ে আইএস-এর শক্তঘাটি বলে পরিচিত রাক্কায় মারা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের সময়ে ওই পরিবারে সদস্যরা হলো, মুহাম্মদ আবদুল মান্নান (৭৫), তার স্ত্রী মিনারা খাতুন (৫৩), তাদের মেয়ে রাজিয়া খানম (২১), তাদের পুত্র মুহাম্মদ জায়েদ হুসেন (২৫), মুহাম্মদ তৌফিক হুসেইন (১৯), মুহাম্মদ আবিল কাসেম সরকার (৩১), তার স্ত্রী সাইদা খানম (২৭)। এছাড়া তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পরিবারের সদস্য মুহাম্মদ সালেহ হাসান (২৬) এবং তার স্ত্রী রোশনারা বেগম (২৭)। সঙ্গে ছিল তাদের তিন শিশু সন্তান।
মান্নানের আগের স্ত্রীর ঘরের দুই ছেলে যুক্তরাজ্য পুলিশকে এই পরিবারের নিখোঁজের বিষয়ে জানায়। মান্নানের এক ছেলে শালিম ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা সবাই মারা গেছে। তারা শেষ হয়ে গেছে। বেশ কিছু সময় ধরে আমরা জানার চেষ্টা করেছিলাম তাদের কী হয়েছে। আর সম্প্রতি সিরিয়া থেকে আমরা নিশ্চিত হয়েছি তারা সবাই মারা গেছে।
সিরিয়ায় পৌঁছানোর দুই মাস পর এক বিবৃতি দিয়ে আইএস-এর প্রতি তাদের সমর্থনের কথা জানায়। দুর্নীতিমুক্ত ও মানুষের তৈরি আইনের নিপীড়ন এবং শরিয়াহ আইন দ্বারা পরিচালিত ভূমিত থাকতে পেরে খুশি হওয়ার কথা জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।