বরিস জনসন নাকি জেরেমি হান্ট- কে হচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী?
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃবরিস জনসন নাকি জেরেমি হান্ট! কে হচ্ছেন বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী! এ প্রশ্নের ফয়সালা হয়ে যাবে সোমবার। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে আজ মঙ্গলবার। এ প্রতিযোগিতায় জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বরিস জনসন। এক মাসব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সোমবার বৃটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টের মধ্যে প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াই শেষ হয়। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের তৃণমূল পর্যায়ের এক লাখ ৬০ হাজার ভোটার পোস্টাল ভোট দেন তাদের পক্ষে ও বিপক্ষে। স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ভোটে যিনি দলীয় প্রধান নির্বাচিত হবেন তিনিই হবেন বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী। আর সঙ্গে সঙ্গে তার কাঁধে চাপবে ব্রেক্সিট সম্পাদনের মতো বহুল বিতর্কিত ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, যিনি কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হবেন, তিনি পরের দিন বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এই ভোটকে কেন্দ্র করে প্রচারণা চালিয়েছেন দুই প্রার্থীই। এতে নানা বিষয় উঠে এসেছে। উঠে এসেছে বরিস জনসনের নতুন প্রেমের কাহিনী। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই পদত্যাগ
করার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। তিনি বলেছেন, বরিস জনসন ব্রেক্সিট নিয়ে যে কৌশল অবলম্বন করেন, তার সঙ্গে কখনোই একমত হতে পারবেন না। এদিকে, জনসন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হলে হান্টকে বরখাস্ত করবেন তিনি।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ কর্মকাণ্ড হিসেবে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় বৃটেনের কোবরা ইমার্জেন্সি কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে তেরেসা মে’র। ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, মন্ত্রণালয় ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আমরা সর্বশেষ যেসব তথ্য পাচ্ছি পারস্য উপসাগরে জাহাজ চলাচলের বিষয়ে, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা রক্ষা নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে কোবরা কমিটিতে।
শুক্রবার ও শনিবার অনলাইনে ১১৯৯ জন দলীয় সদস্যের ওপর জরিপ চালিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির ওয়েবসাইট। তাতে দেখা গেছে, বরিস জনসনকে সমর্থন করছেন শতকরা ৮৩ ভাগ ভোটার। অন্যদিকে জেরেমি হান্টের জেতার সম্ভাবনা মাত্র ১৫ ভাগ।