প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো কী
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ বিবিসির সংবাদদাতা ক্রিস মরিস বলছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে এখন অনেক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।
এখন এটা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে যে ব্রিটেন ৩১শে জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে।
সেটা আইনগত দিক দিয়ে প্রতীকী অর্থে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন।
এরপরেও আছে আরও অনেক প্রতিশ্রুতি।
এক নম্বর হল- আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সাল শেষ হবার আগেই প্রায় রেকর্ড সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটা বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। কারণ ইইউ ছাড়ার পর বাণিজ্য ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সময়সীমা শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০য়ে।
সেটা প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটা কঠিন কাজ হবে যদি বরিস জনসন চান যে বর্তমানে ইইউর যেসব নিয়মবিধি ব্রিটেন মেনে চলে সেগুলো থেকে বেরিয়ে যাবার স্বাধীনতা ব্রিটেন চায়।
দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি হল বরিস জনসন বলেছেন তিনি ব্রেক্সিট পরবর্তী এই অর্ন্তবর্তী সময়ের মেয়াদ বাড়াতে চান না। কাজেই তার বাণিজ্য চুক্তি যদি সময়মত তৈরি না হয় তিনি কী করবেন?
তাহলে কি তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সময়সীমা বাড়াবেন, নাকি চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বেরনর একটা নতুন পথ তিনি খুঁজবেন?
কাজেই ৩১শে জানুয়ারির পর তাকে অনেকগুলো প্রতিবন্ধকতা পার হতে হবে।
এখন সব দৃষ্টিই এই ব্রেক্সিট প্রশ্নকে ঘিরেই। কাজেই ৩১শে জানুয়ারি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। সেদিন আইনগতভাবে ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে।
কিন্তু ইইউর সঙ্গে ভবিষ্যত সম্পর্কের কাঠামো কী হবে সেই গোটা ব্যাপারটার মীমাংসা কীভাবে হবে সেটাই হবে তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।