যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত আরো ৪ জন শনাক্ত , রোববার চীনে মারা গেছেন ৯৭ জন
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত আরো ৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে । এ নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে ।
সরকার যখন ইংল্যান্ডে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে
সতর্কতা জাড়ি করেছে।
ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনভাইরাসকে জনস্বাস্থ্যের জন্য “গুরুতর এবং আসন্ন হুমকি” হিসাবে বর্ণনা করেছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুধু রবিবারই মারা গেছে ৯৭ জন। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে এতো মানুষ মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম।
এ নিয়ে চীনে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়ালো ৯০৮ জনে। কিন্তু নতুন করে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে।
চীন জুড়ে প্রায় ৪০,১৭১ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর ১৮৭,৫১৮ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
নতুন ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চালাতে চীনে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
চীনের তথ্য অনুযায়ী, ৩,২৮১ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার নতুন চন্দ্র বর্ষের ছুটি শেষ করে ফিরবে লাখ লাখ মানুষ। এর আগে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এই ছুটি বাড়ানো হয়েছিল।
কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে কাজের সময়ের মধ্যে পরিবর্তন আনা, এবং নির্দিষ্ট কিছু কর্মক্ষেত্র খোলা।
এই ছুটির সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২০০৩ সালে সার্স প্রাদুর্ভাবে মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। সেসময় চীনে সার্স শুরু হওয়ার পর পুরো বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৭৪ জন মারা গিয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শনিবার বলেছে যে, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে। একইসাথে সতর্ক করে বলেছে যে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে কিনা তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
ভাইরাসটি আরো কমপক্ষে ২৭টি দেশ ও এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত চীনের মূল ভূ-খণ্ডের বাইরে মাত্র দুটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে একটি ফিলিপিন্সে এবং অন্যটি হংকংয়ে।
গত ৩০ জানুয়ারি প্রাদুর্ভাবটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজনঃনতুন এই ভাইরাসটি প্রথমে শনাক্ত করা হয়েছিল উহানে যা হুবেই প্রদেশের রাজধানী। এক কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার শহরটি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মূলত অচল হয়ে রয়েছে।
এদিকে, হংকংয়ে কোয়ারেন্টিন করে রাখা একটি যাত্রীবাহী ক্রুজ বা প্রমোদবিহারের যাত্রী এবং ক্রুদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের কোন চিহ্ন না থাকায় তাদেরকে ক্রুজ ত্যাগের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এর আগের একটি ক্রুজের আট জন যাত্রীর মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর দ্য ওয়ার্ল্ড ড্রিম নামে ওই ক্রুজটিকে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছিল।
অন্য একটি জাহাজ জাপান উপকূলে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে যার আরোহীদের অনেকের মধ্যেই ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে।