করোনাভাইরাস চীনের সৃস্টি দাবী ব্রিটেনের ,ক্ষতিপুরন বাবৎ চীনকে অবশ্যই ৩৫১ বিলিয়ন ব্রিটেনকে দিতে হবে
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নেতৃত্বাধীন ‘কোবরা’ চীনের গবেষণাগার থেকে জীবাণু ছড়ানোর তত্ত্ব ফের সামনে নিয়ে এল। যদি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ব্রিটেনের চীনা রাষ্ট্রদূত জেং রংয়ের দাবি, ‘চীন এমন যদি করে থাকত, তাহলে সেখানে এত মানুষের মৃত্যু হত না।’
হেনরি জ্যাকসন সোসাইটির তদন্তে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে চীন কোভিড-১৯ এর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রভাব হ্রাস করতে পারে এবং ইঙ্গিত দিয়েছে যে চীনা সরকার আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসেবা দায়িত্ব লঙ্ঘনের প্রমাণ রয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতি থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অনুমান করে, যা বিশ্বব্যাপী এক মিলিয়নেরও বেশি লোককে সংক্রামিত করেছে। ইউ কে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান সহ জি-গ্রুপের দেশগুলির ব্যয় হয়েছে £ ৩.২ ট্রিলিয়ন ডলার।
আগামীকাল প্রকাশিত হবে রিপোর্টের কিছু অংশ ডেইলি মেইল দেখতে পেরেছে । এই প্রতিবেদনে জাতিসংঘের (জাতিসংঘ) এবং আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারে যাওয়া সহ অনেক সম্ভাব্য আইনী সুযোগের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।’করোনাভাইরাস ক্ষতিপূরণ: চীনের সম্ভাব্য দোষ ও আইনী প্রতিক্রিয়ার সুযোগের মূল্যায়ন’ শীর্ষক এই গবেষণায় বলা হয়েছে: “সিসিপি (চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি) শীর্ষে খারাপ সংবাদ গোপন করতে এবং বাইরের বিশ্ব থেকে খারাপ সংবাদ গোপন করার চেষ্টা করেছিল।“এখন চীন বিশ্বকে বোঝাতে একটি উন্নত ও পরিশীলিত ডিসিনফর্মেশন প্রচার চালিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যে সঙ্কটের জন্য এটি দোষী নয় এবং এর পরিবর্তে চীন যা করছে তার জন্য বিশ্বকে কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।
করোনায় গোটা বিশ্বজুড়ে মৃত্যুমিছিল চলছে। এখনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। অনেক বিশেষজ্ঞই অবশ্য এই ভাইরাসের পিছনে চীনের উহানের পশু মার্কেটের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তবে বিজ্ঞানীরা যাই বলুন, ইউহান প্রদেশের গবেষণাগারে জীবাণু তৈরির তথ্য উড়িয়ে দিচ্ছে না ব্রিটেনের বিশেষ কমিটি। তারা বছর দুয়েক আগের চীনের সংবাদপত্র পিপলস ডেলি চায়নার একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, ‘চীনের ভাইরোলজি ইন্সটিটিউট ইবোলার চেয়ে ভয়ংকর এক জীবাণু নিয়ে গবেষণা করছে। ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছিল এর জন্য। বণ্যপ্রাণী বাজার থেকে মাত্র দশ মাইল দূরে তৈরি করা হয়েছিল।’
এর আগে ইরানের মানুষের বিরুদ্ধে জৈব অস্ত্র হিসেবে করোনাভাইরাস প্রয়োগ করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তেহরান। সরকারি নির্দেশে সে দেশের গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিজ্ঞানীদের একটি দল যৌথ ভাবে বিষয়টির তদন্ত করছে। চীন ছেড়ে করোনা বিশ্বমুখী হওয়ার পর থেকেই নানামহলে করোনাভাইরাস নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। করোনা আদতে জৈবঅস্ত্র কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করতে থাকে। সেই সন্দেহ থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে তদন্তে নেমেছে ইরান।
করোনাবিরোধী লড়াইয়ে ইরানের জাতীয় সদর দফতরের অভিযান সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা জেনারেল নাসরুল্লাহ ফাতিয়ান এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসকে জৈবঅস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের আশংকার যে কথা শোনা যাচ্ছে, তা উড়িয়ে দেয়া যায় না।সম্ভাব্য সবদিক থেকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাসরুল্লাহ ফাতিয়ান বলেন, ইরানি জনগোষ্ঠীর জেনেটিক গঠনকে কেন্দ্র করে, তাদের ওপর হামলার জন্য এ ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে বলেও জল্পনা শোনা যাচ্ছে। এর সত্যতাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সূত্র: ডেইলি মেইল ।