সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ : শিরোপা পুনরুদ্ধার করলো ভারত
নির্ধারিত সময়ে ১-১ এ সমতায় খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের খেলার প্রথমার্ধ চলছে। আফগানিস্তানের ডিফেন্সের মুখ গেলো খুলে। ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রি উড়ে আসা বলকে ডি বক্সে বুক দিয়ে সামলে পড়ে যাচ্ছিলেন। ওই অবস্থায় নিলেন গোলে শট। গোওওওও…..ল! খেলার ১০১ মিনিটে অর্থ্যাৎ অতিরিক্ত সময়ের ১১ মিনিটে ২-১ গোল এগিয়ে গেলো স্বাগতিক ভারত। শেষ পর্যন্ত ছেত্রির গোলেই সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করে ভারত। সাফের একাদশ আসর থেকে সপ্তমবারের মতো শিরোপা জিতলো তারা।
কেরালার ত্রিবান্দ্রাম ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রতিশোধও নিলো ভারত। গতবার ফাইনালে এই আফগানদের কাছে হেরেই শিরোপা তাদের হাতছাড়া হয়েছিল। ব্লু টাইগার ভারত নিজেদের সমর্থকদের সামনেই হলো চ্যাম্পিয়ন।
তবে বিতর্ক থেকে গেলো। অতিরিক্ত সময়ের শেষটায় আফগান এক খেলোয়াড়ের শট ডি বক্সে পড়ে যাওয়া ভারতের অর্নব মণ্ডলের হাতে লাগে। আফগানরা পেনাল্টির দাবি করে। আফগান কোচ পিটার সেগ্রট নিজের সীমানা ছেড়ে প্রতিবাদ জানালে রেফারি তাকে মাঠ থেকে বের করে দেন।
এর আগে খেলার ১১ মিনিটে চমৎকার একটি সুযোগ পেয়েছিল আফগানিস্তান। ফয়সাল শায়েস্তের বাঁ পায়ের বিপজ্জনক শট ঠেকিয়ে দেন গোলকিপার গুরপ্রিত। কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন তিনি।
১৪ মিনিটে ভারতের ভাগ্য ক্রসবারে ধাক্কা খেয়ে ফিরেছে। জেজে লালপেখলুয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে হলিচরন নারজারি চেষ্টা করেছিলেন। গোলকিপার ঠেকিয়েছেন। ফিরে আসা বলে হেড করেছিলেন জেজে। সেটিও ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। সুনীল ছেত্রি কাছে থাকলেও সুযোগটা নিতে পারেননি।
বিরতিতে খেলা ছিল গোলশূন্য। ফিরে এসে দুই দলই আক্রমণের ধার বাড়ায়। এবার আফগানিস্তান ছন্দ খুঁজে পায়। আর দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই দলই গোল করে খেলা জমিয়ে তোলে।
৭০ মিনিটে লিড নেয় আফগানিস্তান। ফয়সালের কাছ থেকে বল পান জুবায়ের আমিরি। বক্সের মধ্যে ফাঁকায় থাকা আমিরি সোজা শটে গোল করে গ্যালারিতে নিরবতা এনে দেন।
পরের আক্রমণেই ভারত সমতা এনে ফেলে। নারজারি ক্রস ফেলেছিলেন আফগানদের বক্সে। হেড করে বলটা সামনে ফেলেন ছেত্রি। হাশেমির পেছন থেকে বের হয়ে এসে চমৎকার শটে বল জালে জড়ান জেজে। টুর্নামেন্টে তিন গোল করলেন তিনি।
সমতা ফেরানো ভারত এরপর গোলের চেষ্টা করে গেছে নির্ধারিত সময়ের শেষ পর্যন্ত। আক্রমণও দানা বেধেছে। কিন্তু গোল পায়নি তারা। গোল পায়নি আফগানিস্তানও। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই গোল করে ভারত হয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন।