স্টোকসের বিশ্বরেকর্ড, রেকর্ড ইংল্যান্ডেরও
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের উপর দিয়ে ঝড়তো বইয়েছেনই, বইয়েছেন রেকর্ডের বন্যাও। ব্যাক্তিগত আর জুটির রেকর্ডের পাশাপাশি দু-একটা রেকর্ড উপহার দিলেন ইংল্যান্ড দলের জন্যও।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপ টাউন টেস্টে বেন স্টোকসের ডাবল সেঞ্চুরি ও জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড। ৬ উইকেটে ৬২৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছেন ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক।
৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে স্টোকস রীতিমত ঝড় বইয়ে দিয়েছেন দক্ষিন আফ্রিকা বোলারদের ওপর। ১৬৩ বলেই পূরণ করে ফেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। কেপটাউনে খেলতে নামার আগে স্টোকসের নামের পাশে ছিল মাত্র ২০টি টেস্ট। তাতে ২টি সেঞ্চুরি এবং সর্বোচ্চ রান ছিল ১২০।
নিউল্যান্ডসে নিজেকে তো ছাড়িয়ে গিয়েছেনই। একই সঙ্গে বইয়ে দিয়েছেন রেকর্ডের বন্যা। নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টল ১৫৩ বলে করেছিলেন সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি। ১৬৩ বলে করেন বেন স্টোকস। শেষ পর্যন্ত ১৯৮ বলে ২৫৮ রানের ইনিংস খেলে রানআউট হয়ে যান এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। বেন স্টোকসের সঙ্গে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান জনি ব্যারেস্ট। শুধু সেঞ্চুরিই নয়, ১৫০ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি।
বেন স্টোকস আর জনি ব্যারেস্ট মিলে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে গড়ে ফেললেন ৩৯৯ রানের জুটি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৬ষ্ঠ উইকেটে এটাও একটা রেকর্ড। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিজে ওয়াটলিং আর কেনে উইলিয়ামসন মিলে গড়েছিলেন সর্বোচ্চ ৩৬৫ রানের জুটি। ওটাই এবার ভেঙে দিলেন দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান।
৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম ইংলিশ ব্যাটসম্যান স্টোকস। তবে ক্রিকেটের ইতিহাসে ১০ম ব্যাটসম্যান তিনি।
২২৩ রানে ৫ম উইকেট পড়ার পর প্রথম দিনই জুটি বাধেন স্টোকস আর ব্যারেস্ট। দিন শেষে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ব্যারেস্ট্র ছিলেন ৩৯ রানে অপরাজিত। দ্বিতীয় দিন সকালেই ১৩০ রান করে ফেলেন স্টোকস। ১০৫ বলে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। এরপর ১৬৩ বলে পূরণ করেন ডাবল সেঞ্চুরি। অথ্যাৎ ১০০ থেকে ২০০ রানে পৌঁছাতে স্টোকস বল ব্যায় করেছেন মাত্র ৫৮টি। ৬২২ রানের চূড়ায় ওঠার পর রান আউট হয়ে গেলে, তখনই ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক ইনিংস ঘোষণার চিন্তা করেন।
ইংল্যান্ড ৬২৯ রান তুলেছে ১২৫ ওভার পাঁচ বলে। ওভার প্রতি রান তোলার গড় ৪.৯৯। টেস্ট ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় দ্রুততম ৬০০ বা তার বেশি রানের ইনিংস। ইংল্যান্ডের এই কীর্তিটি সম্ভব হয়েছে মূলত স্টোকসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই। টেস্টের যেকোনো সেশনে সবচেয়ে বেশি রান (১৩০) তোলার রেকর্ডও গড়েছেন এই বাঁহাতি।