ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ সাবমেরিন ডুবে গেছে
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ ইন্দোনেশিয়ায় বুধবার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নৌবাহিনীর সাবমেরিনটি ডুবে গেছে বলে ঘোষণা করেছে সেদেশের সামরিক বাহিনী। নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর নৌবাহিনী আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাবমেরিনটি ডুবে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।
এসময় ডুবোজাহাজটিতে ৫৩ জন ক্রু ছিল। জাহাজটিতে তিনদিনের অক্সিজেন ছিল।
জাহাজটির সন্ধানে যারা উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করছিল তারা ওই জাহাজের কিছু জিনিসপত্র পেয়েছে এবং তা থেকেই ধারণা করা হচ্ছে যে সাবমেরিনটি ডুবে গেছে।
যেসব জিনিস পাওয়া গেছে তার মধ্যে রয়েছে জায়নামাজ, গ্রিজের একটি বোতল যা লুব্রিক্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়, একটি যন্ত্র যা টর্পোডের হাত থেকে জাহাজটিকে রক্ষায় সাহায্য করে।
ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রের যতো গভীরে সাবমেরিনটি চলাচল করতে পারতো তার চেয়েও সাড়ে আটশো মিটার নিচে এটি তলিয়ে গেছে।
বালি দ্বীপের কাছে সমুদ্রে টর্পেডো মহড়া চালানোর সময় এটি নিখোঁজ হয়ে যায়।
নিখোঁজ হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। কারণ জাহাজটিতে যে পরিমাণ অক্সিজেন ছিল তা দিয়ে ক্ররা শনিবার সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
ইন্দোনেশিয়ায় নৌবাহিনীর প্রধান ইওদো মারগোনো বলছেন যেখান থেকে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়েছে তার কাছেই এর কিছু অংশ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেছেন, স্ক্যান করে দেখা গেছে ডুবোজাহাজটি সমুদ্রের যতোটা গভীরে চলাচল করতে পারে, এটি তারচেয়েও অনেক গভীরে তলিয়ে গেছে এবং একারণেই তারা সাবমেরিনটি ডুবে যাওয়ার কথা ঘোষণা করছেন।
বালি দ্বীপের কাছে সমুদ্রে মহড়া চালানোর সময় সাবমেরিনটির সঙ্গে বুধবার সকালে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় এটি ডুব দেওয়ার জন্য অনুমতি চাইছিল।
জার্মানির তৈরি এই ডুবোজাহাজটি ৪০ বছরেরও বেশি পুরনো। তবে ২০১২ সালে এতে কিছু কাজ করা হয়।
নৌবাহিনী বলছে সাবমেরিনটিতে কোনো সমস্য ছিল না। তবে জাহাজটি যেখানে ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে কিছু তেল পাওয়া যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তেলের ট্যাঙ্কের হয়তো কোনো ক্ষতি হয়েছে।
নৌবাহিনীর প্রধান বলেন, “আমরা ডুবোজাহাজটির বেশ কিছু পার্টস পেয়েছি। এসবের কিছু কিছু জাহাজটিতে লাগানো ছিল। বাইরে থেকে চাপ তৈরি না হলে এগুলো সেখান থেকে বের হয়ে আসতো না।”
কর্মকর্তারা বলছেন, সমুদ্রে তেল ছাড়াও কেআরআই নানগালা জাহাজের কিছু জিনিসও পাওয়া গেছে। এগুলো আর কারো কাছে থাকার কথা না। এছাড়াও যেখানে এসব জিনিস পাওয়া গেছে তার দশ মাইল ব্যাসার্ধের এলাকার মধ্য দিয়ে কোন জাহাজ চলাচল করেনি।