লেবারপার্টির শেডো কেবিনেটে রদবদল : ৩ জনের পদত্যাগ
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:২০১৫ সালের মে মাসের নির্বাচনের পর থেকে এখনো স্বস্তি নেই ইউকের লেবারপার্টিতে। নির্বাচনে পরাজয়ের পর লিডার এড মিলিব্যান্ড পদত্যাগ করেন। এরপর কট্টর বাম এবং যুদ্ধ বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন এমপি দলের নতুন লিডার নির্বাচনের পর থেকে দলের ভেতরে বিশৃঙ্খলা লেগেই আছে। সেপ্টেম্বরে নতুন লিডার নির্বাচনের পর তৎকালিন শেডো কেবিনেট থেকে পদত্যাগ করে দলীয় অনেক এমপি চলে যান পেছনের সারিতে। নানান আলোচনা-সমালোচনার পর নিজের পছন্দের শেডো কেবিনেট নিয়ে মোটামুটি কাজ শুরু করলেও ডিসেম্বরে সিরিয়ার আইএস ঘাটিতে বৃটিশ বিমান হামলার ইস্যুতে পার্লামেন্টের ভোটাভুটির পর থেকে আবার আলোচনায় আসে লেবার লিডার জেরেমি করবিনের শেডো কেবিনেট। ওই ভোটাভুটিতে দলের এমপিরা স্বাধীনভাবে ভোট দেন। সিরিয়ায় বিমান হামলার পক্ষে লেবারের ৬৬ জন এমপি ভোট দিয়েছেন। অথচ দলের লিডার এবং যুদ্ধ বিরোধী নেতা জেরেমি করবিনের অবস্থান এর বিপক্ষে। মূলত এর রেশ ধরেই শেডো কেবিনেটে রদবদলের কানাঘুষা শুরু হয়। নতুন বছরে পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনের আগেই শেডো কেবিনেটের রদবদল করেন লিডার জেরেমি করবিন। এই রদবদলের রেশ ধরে এক দিনে লেবার শেডো কেবিনেট থেকে ৩ জন সদস্য পদত্যাগ করেন। লেবারের শেডো ইউরোপ সেক্রেটারী প্যাট ম্যাকফাডন এবং শেডো কালচার সেক্রেটারী মাইকেলকে শেডো কেবিনেট থেকে বরখাস্তের প্রতিবাদে শেডো কেবিনেট থেকে শেডো রেইল মিনিস্টার জনাথন র্যানোল্ড এবং শেডো ফরেইন মিনিষ্টার স্টীফেন ডোহার পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ শেডো আর্মড ফোর্স মিনিষ্টার কেভিন জোন্স পদত্যাগ করেন।
অবিশ্বাস আর অনাস্থার কারণে রদবদল, বরখাস্ত ও পদত্যাগের পর শেডো কেবিনেটে এমিলি থর্নবারি এমপি আসেন বর্ষীয়ান এমপি প্যাট প্যাট ম্যাকফাডনের জায়গায়। নতুন কালচার সেক্রেটারী হন মারিয়া ঈগল। লেবারের শেডো কেবিনেটে বর্তমানে ১৭ জন মহিলা এবং ১৪ জন পুরুষ রয়েছেন।