অভিবাসন আইন কঠোর করছে জার্মানি
কোলোন কাণ্ডে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জার্মানি। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে কোলন শহরে নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যারকেল।
২০১৬ সালের প্রথম প্রহরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে কোলন শহরে প্রায় এক শ নারীর ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়েছে। এমনকি ধর্ষনের ঘটনাও ঘটে এসময়। সিরিয়া ও উত্তর আফ্রিকার শরণার্থীরা এতে জড়িত বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। হেনস্তার শিকার অনেকেই জানান, নিপীড়কদের চেহারা আরব ও মধ্য আফ্রিকার নাগরিকদের মতো।
এ ঘটনার পর জার্মানিতে শরণার্থীদের উন্মুক্ত প্রবেশ নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার ঢেউ ওঠে। ইতিমধ্যে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কোলনের পুলিশপ্রধানকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
অ্যাঙ্গেলা ম্যারকেল জানান, কোলনে যেসব শরণার্থী নারীদের ওপর যৌন হামলা চালিয়েছে, তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে তিনি আইনে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছেন। তবে সেজন্য প্রয়োজন হতে পারে আইন সংশোধনের।
জার্মানিতে প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কোনো শরণার্থীকে কেবল তখন দেশে ফেরত পাঠানো যাবে, যখন কোনো অপরাধে তার বিরুদ্ধে জার্মান আদালতে কমপক্ষে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে এবং তার নিজের দেশে যদি কোনো ধরনের প্রাণসংশয় না থাকে।
ধারণা করা হচ্ছে, অ্যাঙ্গেলা ম্যারকেলের রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি যেকোনো মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শরণার্থীকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিধান রেখে একটি প্রস্তাব পেশ করতে যাচ্ছে।
মেরকেল বলেন, আমার মনে হয় কিছু জিনিস অবশ্যই পরিবর্তন করা উচিত বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কী সংশোধন করতে পারি সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও বিচারমন্ত্রী আলোচনা করছেন।