জাকার্তায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৭
এবার ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলো ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা। প্রকাশ্য দিবালোকে একই সাথে বোমা ও আগ্নয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে দুবৃত্তরা। এসময় পরপর কয়েক দফা বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জাকার্তার কেন্দ্রস্থলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, জাতিসংঘ কার্যালয়ের কাছে এবং সারিনা শপিং মলের বাইরে এসব হামলার ঘটনা ঘটে। এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, নিহতদের পাঁচজনই হামলাকারী। তবে স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩ জন পুলিশ সদস্য।
ওই এলাকায় পরপর অন্তত ছয়টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এর মধ্যে একটি বিস্ফোরণের পেছনে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা থাকতে পারে।
ঘটনাস্থলের কাছ থেকেই জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণের পরপরই শুরু হয় গোলাগুলি। বেশ কয়েকঘন্টার জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে আশপাশের এলাকা। ঘটনার পর পুরো এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। আরও বিস্ফোরণের আশঙ্কায় লোকজনকে ঘরের ভেতরে থাকতে বলে পুলিশ। তবে সর্বশেষ খবরে জানানো হয়, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় স্টারবাকসের একটি ক্যাফেতে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় ওই ক্যাফের জানালা ভেঙে বেরিয়ে আসে বলে রয়টার্সের এক আলোকচিত্রী জানান। আর শহরের প্রধান সড়কে সারিনা মলের সামনে বিস্ফোরণে উড়ে যায় একটি পুলিশ পোস্ট।
ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থানও ওই এলাকায়। হামলা যখন চলছে, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সুদহার নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী বৈঠক চলছিল বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
প্যারিসে আইএস এর জঙ্গি হামলার দুই মাসের মাথায় ইন্দোনেশিয়ার এ হামলার পেছনে কারা রয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ইন্দোনেশিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে ২০০২ সালে। বালির এক নাইটক্লাবে সেই বোমা হামলায় ২০২ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন বিদেশী পর্যটক। এরপর ২০০৯ সালেও জাকার্তায় ম্যারিয়ট ও রিটস হোটেলে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছিলো। তবে একই সঙ্গে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এ ধরনের সমন্বিত হামলা সেখানে এই প্রথম।