একটি চিঠি ও সাফা কবিরের মুগ্ধতা
ইমরুল নূর: লাখো তরুণের ক্রাশ মডেল ও অভিনেত্রী সাফা কবির একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন সাফল্যের দিকে। এই ঈদেও বেশ কিছু দর্শকনন্দিত কাজ উপহার দিয়ে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তরুণ জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য বিজ্ঞাপন ও নাটকে অভিনয় করা এ অভিনেত্রীকে চমকে দিয়েছেন তারই এক ভক্ত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাফা কবির অভিনীত বহু নাটকের মধ্য থেকে বেশ কিছু নাটকের নাম দিয়ে ছন্দের কারুকাজে একটি চিঠি লিখেছেন এক ভক্ত। আর সেই চিঠি পেয়ে আবেগে আপ্লুত সাফা, হয়েছেন মুগ্ধ।
সাফা কবির বলেন, আমার ক্যারিয়ারে আমি অনেক রকম সারপ্রাইজ পেয়েছি কিন্ত এমন চমকপ্রদ উপহার কখনো পাইনি। এটা সত্যি দারুণ। এত সুন্দর করে কেউ আমার নাটকের নাম দিয়ে সাজিয়ে চিঠি লিখেছে, খুবই চমৎকার। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ভক্তরা যারা আমাকে এতোটা ভালোবাসেন তাদের সবার প্রতি আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। তাদের এমন ভালোবাসা দেখে নিজের প্রতি দায়িত্ববোধটা অনেক বেশি বেড়ে যায়। তখন মনে হয় যে, এই দর্শকদের জন্য আরও ভালো ভালো কাজ করা উচিত। তার যেভাবে প্রতিটা মুহূর্তে নানাভাবে উৎসাহিত করেন, সেটা সত্যি প্রশংসনীয়।
ভক্তের লেখা সেই চিঠিটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
প্রিয় সাফা কবির আপু,
‘অল টাইম দৌড়ের উপর’ দিয়ে যাত্রা শুরু করো তুমি। তারপর ”আগন্তুক” ভাবে একের পর এক সুন্দর সুন্দর কাজ উপহার দিয়ে যাচ্ছ। তুমি কখনো হয়েছো “মিস শিউলি” আবার কখনো “ভিক্টিম” কিন্তু তোমাকে “তবুও ভালোবাসি”। আমি তোমার “আবেশ” এ এসে বলতে চাই, “এই যে আমি”। তুমি সুইটি হিসেবে প্রতিবারের মতো চমক দেখিয়েছো “ঢাকাইয়া আশিক”, “ঢাকাইয়া খানদান”, “ঢাকাইয়া ওয়েডিং” এর মতো নাটকে। আবার কখনো তুমি “যত্ন ” করে “নিউলি ম্যারিড” দের দিয়েছো “অ্যা বিটার লাভ স্টোরি”। “১৯৯০” সালে “বিকাল বেলার ছাদ” এ “রিলেশনশীপ ম্যানেজার”, এসে “ড্রামা কুইন” এর কাছ থেকে “প্রেসক্রিপশন” এ “পাসওয়ার্ড” চাইলে “অবশেষে বৃষ্টি” নেমে এলো। “বাঘবন্দি ” করে “ফাপর” দিতে দিতে বললে “শেষ খেলা” ঠিক তখনি “জেনারেশন স্টোরি” তে “গন কেইস” শুরু হয়ে গেল।
“তোমার হাতটি ধরে” আমি বলি “এই পথ যদি না শেষ হয়” তখন “তুমি বললে”, “তুমি পাশে থাকলে”, “ভালোবাসা ১০১”। “রঙ্গিন কাগজ” এ “তোমায় ভেবে লেখা”, “এই গল্পের নাম নেই” আছে শুধু “অক্ষর” এ লেখা “আমি ছাড়বো না তোমাকে”। “মনের মতো বাগান” করেছি “শুধু তোমার জন্য” এতেই আমার “সুখ”। তোমাকে দেখে মনে হয় ” চারুলতা” আবার কখনো মনে হয় “হাওয়াই মিঠাই”। তোমার “ছোঁয়া”, “স্পর্শ” পেতে চাই সারাক্ষণ। এখনো “সন্ধ্যা নামতে দেরি”, “হয়তো তোমার জন্য”। “দেয়াল” এ ভেসে ওঠে তোমার মুখচ্ছবি। আমি তোমাকে ভালোবাসবো “চিরকাল”।
“ফার্স্ট ইয়ার ড্যাম কেয়ার” এ তোমাকে “হ্যালো লেডিজ” বলে ডাকায় তোমার “মেজাজ খারাপ” ছিল তখন আমি জানতাম যে, “প্রেমে পড়া বারণ” তাই তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম “কোনো সমস্যা?” । “অবাক মেঘের বাড়ি” তে “মীরা” নামে তোমার এক “বান্ধবী” ছিল। সে বলল, “মেয়েটার রাগ বেশি”। তখন বুঝতে পারলাম ” লাভ মানেই পেরা”! “ম্যারিজ মিডিয়া” তে নাকি “কবুল” বলার আগে “মিয়া বিবি রাজি” হতে হয়। “নাবিক”, “আঁধারি” তে আর “রাত পাখির ডাক” এ ঘুমিয়ে পড়লো “ঘুম সোহেল”। “বেবি আপুর লাইভ” এ “কন্ট্রাক্ট ভাই” বলে তুমি নাকি “মুন্নার গার্লফ্রেন্ড”, তখন আমার অবস্থা হয় “দূর্ঘটনা কবলিত স্বামী” র মতো। তুমিই আমার “প্রথম ভালোবাসা”, আমার “সোলমেট”।
আমি যখন বলি “তোকে ভালোবাসি আমি” তখন তুমি এই “তিন পাত্তি গোল্ড” এর চক্করে বলো “লাস্ট গুড বাই”। “সাত সতেরো” না ভেবে শুধু “তোমার জন্য” আমি “থানা থেকে আসছি” তোমার “ভালোবাসার হাত ধরে “টেইক কেয়ার” করার জন্য “তোমার আপন হাতের দোলে”। “তাহাদের ভালোবাসা” হচ্ছে “মোর দ্যান ফ্রেন্ডজ”, “টুরু লাভ”। এখন “বেবি আপুর লাইভ টু” তে “মিশন বরিশাল” গিয়ে “ট্রুথ অর ডেয়ার” খেলে “প্রমোশন” পেয়ে “অবশেষে আমরা” হয়ে গেলাম “মিলিয়নিয়ার ফ্রম বরিশাল”। “লাস্ট রেইন” এ “কাটাকুটি” করে “উহ লা লা” গান গেয়ে “ভেজ-ননভেজ” খেয়ে “কানামাছি” খেললাম। “ফাহিম দ্য গ্রেট ফাজিল”, “চরের মাষ্টার” কে বলল “চলো পালাই”। তারপর “টাইম পাস” করে “লাভ এন্ড ফ্রেন্ডশিপ” আর “লাভ লিংক” দেখে আমি বললাম “আমাদের গল্পটা এমন হলেও পারতো”। “ফাহিম দ্য গ্রেট ফাজিল টু” “টু মাচ” “চিলি সস্” খেয়ে “তেরেকেটে সারেগামা” গাইতে লাগলো। আর “শেষটা সবাই জানে”।