আফগানিস্তান হোক মুসলিম উম্মাহর একীভূত হওয়ার সূচনা-হিযবুত তাহরীর
আফগানিস্তানে মার্কিন আক্রমণের প্রায় ২০ বছর পরে, মার্কিন-প্রতিষ্ঠিত পুতুল শাসনের পতন ঘটেছে ও দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ, কঠিন লড়াইয়ের পর বিজয়ী হয়ে তালেবানরা দেশের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছে। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটি প্রাণহানীকর যুদ্ধের ভিতর পার করেছে এবং সাম্প্রতিক মার্কিন আগ্রাসন রুখে দেয়ার মাধ্যমে তারা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তানের মানুষ শান্তি ও নিরাপত্তা চায় এবং ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী জীবনযাপন করতে চায়।
বেশিরভাগ মুসলিম দেশের মত আফগানিস্তানের দুর্ভোগের প্রধান কারণ পশ্চিমা আগ্রাসন ও হস্তক্ষেপ। আর এই পশ্চিমা দখলদারির জ্বালানি যোগানদাতা হচ্ছে মুসলিম দেশগুলোতে চেপে বসা বিশ্বাসঘাতক দালাল শাসকগণ, যারা দখলদারদেরকে মুসলিম ভূমি ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে বিমান ও ড্রোন আক্রমণের অনুকূল পরিবেশ তৈরী করে দেয় এবং দখলদার বাহিনীকে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে খাওয়ানো, পরানো এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেয়ার মাধ্যমে তাদের প্রভু ওয়াশিংটন ও লন্ডনের আনুগত্যের ষোলকলা পূর্ন করছে।
আল্লাহর রাসূল (ﷺ) একটি বিখ্যাত হাদিসে উল্লেখ করেছেন “لا يُلدَغُ المؤمنُ من جُحْرٍ واحد مرتين”
“একজন মুমিন একই গর্ত থেকে দুইবার দংশিত হয় না।” (আল-বুখারী, মুসলিম, আহমদ, আবু দাউদ এবং ইবনে মাজাহ)
উপরোক্ত হাদিসের আলোকে এটা আবশ্যক যে নতুন সরকার বিদেশী শক্তি ও তাদের দোসরদের হস্তক্ষেপ আফগানিস্তানের ভূমি থেকে সমূলে বিতাড়িত করে দেয়। কারণ এই পশ্চিমা হস্তক্ষেপ প্রতিনিয়ত এই ভূমিতে স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে এবং আফগানিস্তানকে অন্তর্কোন্দলের মাধ্যমে ধ্বংস হওয়ার রসদ জুগিয়ে যাবে।
আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে প্রয়োজন সত্যিকারের রাজনৈতিক পরিবর্তন, যার মাধ্যমে এই ভূমি হতে মার্কিন আধিপত্য ও সারা দেশে গেঁড়ে বসা মার্কিন অবকাঠামো উপড়ে ফেলা যাবে। আর এই রাজনৈতিক পরিবর্তন শুধুমাত্র ইসলামের মাধ্যমেই আসতে পারে যা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে ও আফগানিস্তানের জাতিগত বিভেদ দূর করবে।
আফগানিস্তান এবং আশেপাশের ভূমির মুসলিমদের প্রতি আমাদের আহ্বান:
# আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার গোয়েন্দা অবকাঠামো এবং এজেন্টদেরকে সমূলে উৎখাত করা
# ইসলামী খিলাফত ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা, যা মানুষের নিরাপত্তা, শিক্ষা এবং কল্যাণের মতো মৌলিক অধিকার প্রদান করবে
# আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়া মিলে একটি একক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী ইসলামী খিলাফত রাষ্ট্র তৈরী করা, যে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে, বাকি উম্মাহকে একত্রিত করবে এবং তার অঞ্চলগুলোকে বিদেশী আগ্রাসন থেকে রক্ষা করবে
আমরা প্রার্থনা করি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা যেন আফগানিস্তান, এর আশেপাশের অঞ্চল ও বৃহত্তর মুসলিম বিশ্বের আত্মত্যাগের বিনিময়ে খিলাফাহ প্রদান করবেন এবং এই মহৎ উম্মাহকে কাফের ও মুশরিকদের উপর বিজয়ী করবেন। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি