ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ৩৬০,০০০ পাউন্ড প্রতারণার অভিযোগ
সাজু আহমেদঃ ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে বিভিন্ন ধরণের জালিয়াতির অভিযোগ থাকলে ও এবার ব্যাতিক্রমি কায়দায় বাবা ও পুত্র মিলে ব্রিটেনের সুইনডন, কার্ডিফ, লেস্টার সহ বিভিন্ন সিটির বাঙালি ও ভিনদেশি মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৩৬০,০০০ (তিনশত ষাট হাজার পাউন্ড) হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে । ভুক্তভোগীরা গত সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভুগীরা জানান, বাংলাদেশে অবস্থানরত পিতা আব্দুল মজিদ ও ব্রিটেনে বসবাসরত পুত্র নাইমুল ইসলাম বাংলাদেশের সিলেটে প্রজেক্টের আকর্ষণীয় ভিডিও দেখিয়ে, পার্টনারশিপের লোভ দেখিয়ে, মানি এক্সচেঞ্জের রিসিট ভূয়া বানিয়ে ও ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে প্রায় ৩০ জনের কাছ থেকে তিনশত ষাট হাজার পাউন্ড হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভুগীরা বেশিরভাগ সুইনডন এর হলে সারা ব্রিটেনের আরো বিভিন্ন শহরে রযেছেন۔ প্রত্যেকের সাথে আলাদাভাবে এমনভাবে যোগাযোগ করেছে প্রতারকচক্র যে কেউ ভুলে ও বুঝতে পারেননি একসাথে এত মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন।
ছয়টি প্রজেক্টের মধ্যে রয়েছে সিলেটের ওসমানী বিমান বন্দরের কাছে ছয় ইউনিটের বিল্ডিং যার বাজার মূল্য এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা, সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন নয় শতক জায়গা যার বাজার মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা, সিলেট বিমানবন্দরের পিছনে ফসলি জমি যার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা, গাড়ির প্রজেক্টের মূল্য ২৮ লক্ষ টাকা, গরুর খামারের মূল্য ১৫ লক্ষ টাকা ও আনন্দ টুরিজম প্রজেক্ট যাতে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করা হয়. এছাড়া মানি এক্সচেঞ্জ, ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে তাদের নিকটজনের একাউন্ট ব্যবহার করে কয়েক লক্ষ পাউন্ড হাতিয়ে নেয় ।
সংবাদ সম্মেলনে মূল অভিযোগ পাঠ করা মোহাম্মদ আবু জাহেদ এর ১০ হাজার পাউন্ড, বাবরু মিয়ার ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা, রাজীমুল করিম তুহিনের ৪০ হাজার পাউন্ড ও সাইকুল ইসলাম খোকনের টিকেট ও দেশে টাকা পাঠানো বাবদ প্রায় ১৩ হাজার পাউন্ড প্রতারকচক্র আত্মসাত করে বলে উপস্থিত অভিযোগ কারীরা জানান। অনুষ্ঠানে আরও অনেক ক্ষতিগ্রস্তরা উপস্থিত ছিলেন.
অভিযোগকারীরা বাবা ও পুত্রের ঠিকানা সিলেটের আম্বরখানার গোল্ডেন টাওয়ারের স্কাই ট্রাভেলস বলে উল্লেখ করেন।