ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ১১ ফেব্রুয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এ মামলার রায় দেবেন হাইকোর্ট। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের এ দিন ধার্য্য করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের সিলেটে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছিলো।
গত ৬ জানুয়ারি থেকে আসামিদের আপিলের ওপর তিন কার্যদিবসে পেপারবুক উপস্থাপন শেষে ১৪ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী একেএম ফয়েজ, মোহাম্মদ আলী এবং রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হাসনা বেগম।। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম; সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এতে পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিন জন নিহত হন। আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ আহত হন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। একই দিন সিলেট কোতোয়ালী থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
এরপরে তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৭ জুন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, তার ভাই মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, শরীফ শাহেদুল আলম ও দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই বছরের ৩১ জুলাই ওই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
পরে ২০০৮ সালের ১১ মার্চ মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম এবং দেলোয়ার হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি দুই আসামি হান্নানের ভাই মহিবুল্লাহ ও মুফতি মঈন উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এই পাঁচ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে যায়। এ ছাড়া আসামিরা আলাদা আপিল করেন। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে এ মামলার শুনানি শুরু হয়, বুধবার তা শেষ হলো।