শান্তিতে নোবেল দিতে ট্রাম্পের নাম সুপারিশ!
২০১৬ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন পুরুষ সিনেটর বা কংগ্রেসম্যান ওই পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছেন বলে জানায়েছেন অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিস্টিয়ান বার্গ হার্পভিকেন। তবে নিয়ম না থাকায় সুপারিশকারীর নাম ও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
তবে নাম সুপারিশ করা হলেও মনোনয়নের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ট্রাম্পের স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান ক্রিস্টিয়ান। তাঁর ভাষ্য, ট্রাম্পের পক্ষে গণমাধ্যমের প্রচার পাওয়ার জন্য কেউ এই মনোনয়নের কাজটি করে থাকতে পারেন।
বিভিন্ন সময়ে নানা বিতর্কের জন্ম দেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ট্রাম্পকে নোবেল পুরষ্কারের জন্য সুপারিশ করায় অনেকই হতবাক। আরও অবাক করা তথ্য হচ্ছে, যে মুসলিম বিদ্বষী বক্তব্য দিয়ে ট্রাম্প এতো সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন, সেই একই কারন দেখানো হয়েছে তার নোবেল প্রাপ্তির যোগ্যতা হিসেবে।
প্রস্তাবকারীর নাম না জানালেও মনোনয়ন-পত্রের কিছুটা অংশ প্রকাশ করে দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ান। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, কড়া হাতে চরমপন্থী মুসলিমদের মোকাবিলা করার কথা বলার জন্য এবং আইএস, পরমাণু শক্তিধর ইরান ও কমিউনিস্ট চিনের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পুরস্কার পাওয়া উচিত!
এবারের শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করার শেষ সময় ছিল ১ ফেব্রুয়ারি।
এদিকে শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এমন খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিদ্রুপ আর হাস্য-রসের জোয়ার। ব্যবহারকারীরা বলছেন- কেউ নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনীত করেছে। কিম জং উন আর আল-বাগদাদি নিশ্চই এটা শুনে দুঃখ পাচ্ছেন! আবার কারও মন্তব্য— যিনি-ই ট্রাম্পকে মনোনীত করে থাকুন না কেন, তার মনোবিদের কাছে যাওয়া উচিত।
এপ্রিল-ফুলের প্রসঙ্গ টেনে এনে এক জন টুইটারে লিখেছেন, নোবেলে মনোনীত ট্রাম্প। এ বছর এপ্রিল অনেক তাড়াতাড়ি এসে পড়ল! এক জনের ‘দাবি’, ট্রাম্প পুরস্কার পেলে তার প্রতিবাদে তিনি জীবনের মতো মোবাইল ব্যবহার করা ছেড়ে দেবেন। আর এক জন আশ্বাস দিয়েছেন, এই মনোনয়ন বাস্তবায়িত হলে আমি মহাশূন্যে পাড়ি দিয়ে গিয়ে ভিন্ গ্রহের প্রাণী হয়ে যাব!