দুইশো বছরের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী মার্গারেট থ্যাচার
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার গত দুইশ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীর স্বীকৃতি পেয়েছেন। ব্রিটেনের এক জনমত জরিপে ২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে । থ্যাচার প্রথম হন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে রোববার এ খবর প্রকাশ করে বিজনেস ইনসাইডার।
গত মঙ্গলবার জরিপের এ ফল প্রকাশ করা হয়। জরিপে আরো দেখা যায়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষরাই শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। স্কটিশ উইডো কোম্পানি এ জরিপ পরিচালনা করে।
থ্যাচারই ব্রিটেনের প্রথম এবং একমাত্র নারী যিনি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি টানা ক্ষমতায় ছিলেন, যা ব্রিটেনের দেড়শ বছরের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। ২০১৩ সালের এপ্রিলে এই লৌহমানবী মারা যান।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন থ্যাচার ট্রেড ইউনিয়ন, রাষ্ট্রায়ত্ত অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিমালিকানধীনে নিয়ে আসা এবং ফকল্যান্ড যুদ্ধসহ বেশ কয়েকটি বিতর্কিত নীতির জন্য সমালোচিত ছিলেন।
জনমত জরিপে থ্যাচার পেয়েছেন ২৮ শতাংশ ভোট। তার পরেই ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজ্ঞানী মেরি কুরি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে রানি এলিজাবেথের অবস্থান তৃতীয়। প্রিন্সেস অব ওয়েলস, ডায়না ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ এবং নারী অধিকারকর্মী এমিলিনে পাঙ্কখুনস্ট ১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন।
প্রভাবশালী ১০ নারীর মধ্যে এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছেন, মাদার তেরেসা, ফ্লোরেন্সে নাইটিঙ্গেল, রানি ভিক্টোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকারকর্মী রোজা পার্কস ও টিভি উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে।
জরিপে আরো প্রকাশ পায় রাজকীয় নারীদের তুলনায় উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী ও রাজনীতিক নারীরা সমাজে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে।
স্কটিশ উইডো কোম্পানি ১৮১৫ সালে নেপোলিয়ানিক যুদ্ধের সময় নিহত সৈনিকদের বিধবা স্ত্রীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য গঠিত হয়। তারা বিধবা নারীদের পেনশন, ইন্স্যুরেন্স ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে সমাজে ভূমিকা রাখতে কাজ করে আসছে।
এই জরিপের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- নারীদের তুলনায় পুরুষরা নারীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য বেশি সমর্থন দিয়েছেন। চার ভাগের তিন ভাগ পুরুষ সবচেয়ে প্রভাবশালী হিসেবে মার্গারেট থ্যাচারকে মনে করেন। নারীদের বেলায় এ সংখ্যা মাত্র চার ভাগের এক ভাগ।