ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো: ভক্তের ফোন ভেঙে পুলিশি তদন্তের মুখে রোনালদো
বাংলা সংলাপ ডেস্ক: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এক ভক্তের ফোন ভেঙেছেন – এমন এক অভিযোগের তদন্ত করছে মার্সিসাইড পুলিশ।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে এভারটনের মাঠ গুডিসন পার্কে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ১-০ গোলে হারের পর রোনালদো মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় এক দর্শকের ফোন ভেঙে ফেলেন, এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পর তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
সাঁইত্রিশ বছর বয়সী রোনালদো পরবর্তীতে নিজের ফেসবুক ও টুইটারে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন।
মার্সিসাইড পুলিশ বলছে, ‘কথিত এই শারীরিকভাবে আঘাত’ তারা খতিয়ে দেখছে।
পুলিশের এক মুখপাত্র বিবিসি স্পোর্টসকে বলেছেন, তারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও এভারটনের সাথে যোগাযোগ করছেন।
“স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটায় যখন ফুটবলাররা মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন অ্যাওয়ে দলের এক ফুটবলার এক ছেলেকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।”
“তদন্ত শুরু হয়ে গেছে, অফিসাররা এভারটনের সাথে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে কাজ করছে। ঘটনাটা যে ঘটেছে তা নিশ্চিত হতে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথেও কথা বলা হচ্ছে।”
এই বিষয়ে যে কারও তথ্য মার্সিসাইড পুলিশকে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
“টুইটার বা ফেসবুকের মাধ্যমে ৯ই এপ্রিল ২০২২, রেফারেন্স নম্বর ২২৮ দিয়ে এই ঘটনার যে কোনও খবর মার্সিসাইড পুলিশকে জানানোর জন্য বলা হচ্ছে।”
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাব থেকে বলা হয়েছে, অভিযোগ সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল এবং ‘যেকোনো পুলিশি তদন্তে তারা সহায়তা করবে’।
এই ম্যাচ হারের ফলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। এই ম্যাচের আগে এভারটন অবনমন অঞ্চলের মাত্র এক পয়েন্ট দূরত্বে ছিল।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বলেছেন, “আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি তা কঠিন এবং এমন সময়ে আবেগ সামলানো মুশকিল।”
“তবুও যেকোনোভাবে হোক, আমাদের উচিৎ শ্রদ্ধা রাখা, ধৈর্য্য ধরা এবং তরুণরা যারা ফুটবল ভালোবাসে তাদের সামনে উদাহরণ তৈরি করা।”
“আমি আমার এমন আচরণের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। একই সাথে ফেয়ার প্লে এবং ক্রীড়াসুলভ আচরণ হিসেবে, যদি সম্ভব হয় আমি চাই এই সমর্থককে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দাওয়াত দিতে।”
ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটলো যখন ক্লাব হিসেবেই ম্যানচেস্টার ইউনাইট মাঠে ব্যর্থতার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়েছে, প্রিমিয়ার লিগে সেরা চারের লড়াই থেকে ছিটকে পড়ছে।
ক্লাবটি একজন কোচের সন্ধানে আছে এখন যিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে বর্তমান অবস্থা থেকে টেনে তুলতে পারবেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অন্তবর্তীকালীন কোচ রালফ র্যাংগনিক এভারটনের বিপক্ষে হারের পর বলেছেন, “এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলটির ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতাই নেই।”
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলকিপার স্পেনের ডেভিড ডি হেয়া বলেছেন, “ভালোর কাছাকাছিও নেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।”