সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার রাশিয়ার
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করা সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে দেশটি। একই সাথে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে রাশিয়া বলছে, যারা এই অভিযোগ করছে তাদের কাছে এর সমর্থনে প্রমাণ নেই। মঙ্গলবার বিবিসি এ খবর প্রকাশ করে।
সিরিয়ায় হাসপাতাল ও মসজিদে হামলা চালানোর জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে বলা হচ্ছে, এ ধরনের কাজ যুদ্ধাপরাধের শামিল।
সোমবার সিরিয়ার আজাজা অঞ্চলে দুটি হাসপাতাল ও একটি স্কুলে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। মারাত আল-নুমানে দুটি হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পৃথক এই তিন ঘটনায় সবমিলে প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্কুল, হাসপাতালে হামলা চালানো মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে।
তুরস্ক দাবি করেছে, এই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সেই দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, এ ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে মঙ্গলবার তুরস্ক বলেছে, সিরিয়ায় স্থল অভিযানে অংশ নেবে তুরস্ক, তবে তা শুধু তাদের আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে থেকে। এককভাবে তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় কোনো অভিযান চালানো হবে না।
সিরিয়ায় অস্ত্র বিরতির বিষয়ে রাশিয়াসহ বিশ্বশক্তি একমত হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় এইসব হামলা চালানো হয়। এতে করে সিরিয়া নিয়ে শান্তি আলোচনা এবং অস্ত্রবিরতি হুমকির মুখে পড়ে গেল। মঙ্গলবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, অস্ত্র বিরতি কোনো এক পক্ষের ইচ্ছায় হবে না। এ জন্য সব পক্ষকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
সিরিয়া গৃহযুদ্ধে বিশ্বের পরাশক্তির দেশগুলো ছায়াযুদ্ধ করছে। রাশিয়া প্রেসিডেন্ট বাশারের সমর্থনে সিরিয়ায় অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও সোদি আরবসহ বাশার বিরোধী শক্তিবয়ল বিদ্রোহী শক্তিজোটকে সমর্থন করছে। তারা বাশারের পতন চায়। তবে সিরিয়ায় বিদেশি শক্তিগুলোর সবাই একটি অভিন্ন লক্ষ্যের কথা বলছে- সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ধ্বংশ করাই তাদের লক্ষ্য।