গুমের ১০ বছরঃ একজন জননেতা এম ইলিয়াস আলীর অপেক্ষায় জনগণ
মোঃ ময়নুল হক:
জনগণের নেতা জননেতা এম ইলিয়াস আলী। বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের প্রাণ পুরুষ তিনি। জনগণের মণিকোঠায় স্থান করে নেয়া। এই নেতা এখন রাজনীতির মাঠে অনুপস্থিত। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বর্তমান সরকারের ‘গুম’ নামক কারাগারে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। জনগণ পায়নি নেতা, নেতা পায়নি জনগণ। এরপরও তার অসামান্য অবদানের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে আছেন মানুষ। গ্রামের কৃষক, হাওরের জেলে, প্রবাসীদের নয়নের মণি এই নেতার ফেরার অপেক্ষায় সিলেটের কোটি জনতা। অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলীর বৃদ্ধা মা সূর্যবান বিবি। শিশু কন্যা সাইয়ারা নাওয়াল পথ পাণে চেয়ে আছে। কখন আসবে নেতা, জেগে উঠবে মানুষ, প্রাণ ফিরে পাবে প্রিয় বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের জনপদ- সেই প্রতীক্ষায় অন্তহীন বেদনা কাতর মানুষ।
একজন এম ইলিয়াস আলী কেবল রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক। তাঁকে ঘিরেই জেগেছিল আশা, স্বপ্ন দেখেছিলো মানুষের। এমন নেতা বারে বারে আসে না। একবারই আসে। আলো জ্বেলে যায় গ্রামে-গ্রামে। তাঁর স্বজন হয়ে উঠে মানুষ। পিছিয়ে পড়া জনপদের মানুষ হয়ে উঠে আত্মার আত্মীয়। তখন সময় ২০০৪ সাল। ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গেছে জনপদ। টিনের চালে, ঘরের মাচায়, মহাসড়কের পাশে তখন বাস্তুহারা মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে বসবাস। জনতার নেতা এম ইলিয়াস আলী থেমে নেই। অভুক্তদের পাশে ছুটে গেছেন অবিরাম। মুখে তুলে দিয়েছেন খাবার। শীতে কাবু জনপদের মানুষের গায়ে জড়িয়ে দিয়েছেন উষ্ণতার কম্বল। ঘরহীনদের দিয়েছেন আশ্রয়। অসহায়দের পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন নিরন্তর।
২০১২ সালে ১৭ই এপ্রিল বর্তমান শাসকগোষ্ঠির রোষানলে পড়েন সিলেটের মাটি ও মানুষের নেতা এম ইলিয়াস আলী। রাজধানী ঢাকায় বর্তমান সরকারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী তাঁকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। সেই থেকে গুম নামক কারাগারে বন্দি তিনি। একজন এম ইলিয়াস আলী খুঁজে পাওয়া বর্তমান ঘুনে ধরা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কঠিন। জনগণের প্রতি অগাদ ভালবাসা, কর্মীদের অভিভাবক হয়ে মেঘদূতের মতো ছায়া দিয়েছেন। আজ তাঁর অনুপস্থিতিতে কাঁদছে মানুষ, বিষন্ন জনপদ আর অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন কর্মীরা। এম ইলিয়াস আলী ফিরবেন- এমন আশায় বুক বেধে আছে সবাই। অবহেলিত বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জে আলোর মশাল জ্বালাতে তাকে ফিরতেই হবে।
বিশ্বনাথের রামধানা গ্রামের দুরন্ত বালক এম ইলিয়াস আলী। শৈশব থেকে দুরন্ত এম ইলিয়াস আলী স্বপ্ন দেখতেন মানুষকে নিয়ে। মেধাবী ছাত্র হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুযোগ পান। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়েই জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের অনুসারী হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে নামেন। তখন ক্ষমতায় স্বৈরশাসক এরশাদ। জনগণের মুক্তিলাভে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলেন। ওই আন্দোলনে কেপে উঠে দেশ। মুক্তিপায় জাতি। অদম্য সাহসী এম ইলিয়াস আলী এ কারণে ছাত্র জমানায় হয়ে উঠেন রাজনীতির সিংহপুরুষ। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে তিনি ছত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর থেকে দেশের ইতিহাসে ছাত্রদলের নতুন অধ্যায় রচনা শুরু হয়। ছাত্র অধিকার আদায়ে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
জননেতা এম ইলিয়াস আলী ঢাকার রাজপথ কাপালে তার মন পড়ে থাকে প্রিয় জন্মস্থান বিশ্বনাথে। ছাত্র রাজনীতি থেকেই মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। সেই স্বপ্ন নিয়ে ফিরে আসেন এলাকায়। তাকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে সিলেট-২ আসনের মানুষ। বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের এমন কোন এলাকা নেই যেখানে পা মাড়াননি এম ইলিয়াস আলী। মানুষের ডাকে, মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ছুটেছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। রোদ-বৃষ্টি, খড়া-বন্যা উপেক্ষা করে ছুটেছেন তিনি। এতে করে স্বল্প সময়েই তিনি নিজ এলাকার মানুষের প্রিয় মানুষে পরিণত হন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা থেকে এম ইলিয়াস আলী এমপি নির্বাচিত হন। তাঁকে আশাহত করেনি এলাকার মানুষ। প্রিয় মানুষ এম ইলিয়াস আলীকে বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগরের আপামর জনতা নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করে। তাঁকে জাতীয় সংসদে পাঠান।
পরের নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হলেও জনগণের সঙ্গ ছাড়েননি প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারো জাতীয় সংসদের এমপি নির্বাচিত হন। আর সেই থেকে বদলে যেতে থাকে অবহেলিত বিশ্বনাথ, ওমানীনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলা। এম ইলিয়াস আলীর হাত ধরেই সিলেট-২ আসনের প্রতিটি এলাকা উন্নত জনপদে পরিণত হয়। দুর্গম এলাকার মানুষ পায় উন্নত জীবনযাত্রার ছোয়া। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয় গোটা জনপদ। স্বস্তি এবং শান্তির সুবাতাস বয়ে যায় সুরমা-কুশিয়ারা বিধৌত তিনটি উপজেলা। এম ইলিয়াস আলী বিশ্বাস করতেন- পিছিয়ে পড়া জনগণকে জেগে তোলা ছাড়া দেশকে উন্নত জনপদ করা সম্ভব নয়। এ কারণে গ্রামে-গ্রামে যোগাযোগের দুয়ার খুলে দেন তিনি। বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের অর্ধেকের বেশি এলাকা যোগাযোগ হতো পানি পথে। কিন্তু এম ইলিয়াস আলীর উন্নয়নে সেই পশ্চাদপদ এলাকার গ্রামের মানুষ শহরের সুবিধা পাচ্ছে।
এম ইলিয়াস আলী বিশ্বনাথ-বাইপাস সড়ক, বিশ্বনাথ বাসিয়া নদীর উপর ব্রিজ, দেওয়াকলসের গুমাদঘাটের ব্রিজ, সিঙ্গেরকাচ বাজারের ব্রিজ, মুন্সিবাজারের ব্রিজ, বালাগঞ্জের পেকুয়া নদীর ব্রিজ, কুশিয়ারা ডাইক ও স্লুইস গেইট নির্মাণ, আলী খার ব্রিজ, রশিদপুর-বিশ্বনাথ-লামাকাজি সড়ক নির্মাণ, কামালবাজার-পনাউল্লাহ বাজার-রামপাশা-সিঙ্গেরকাছ-রসুলগঞ্জ বাজার সড়ক নির্মাণ, বিশ্বনাথ-খাজাঞ্চি-কামাল বাজার সড়ক নির্মাণ, বিশ্বনাথ-অলংকারী-পনাউল্লাহ বাজার-কামালবাজার সড়ক নির্মাণ, নতুন বাজার-বিশ্বানথ সড়ক নির্মাণ, তাজপুর, ভাড়েরা চর ইসবপুর-আইলাকান্দি সড়ক নির্মাণ, বেগমপুর-চাতলপাড়-কালনীচর সড়ক নির্মাণ, গোয়ালাবাজার-কালিবাড়ি বাজার-বালাগঞ্জ সড়ক নির্মাণ, বেগমপুর-গলমুকাপন-হাজিপুর-মুক্তারপুর সড়ক নির্মাণ, শেরপুর-খসরুপুর-প্রেমবাজার সড়ক নির্মাণ, দয়ামীর-চকেরবাজার-মাদ্রাসাাজার সড়ক নির্মাণ, সুলতানপুর-আদিত্যপুর সড়ক নির্মাণ সহ অসংখ্য সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট স্থাপন করে যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নত জনপদ হিসেবে নিজ এলাকাকে গড়ে তোলেন।
এম ইলিয়াস আলী সংসদ সদস্য থাকাকালে তাজপুর ফায়াস স্টেশন, পশ্চিম পৈলনপুরে মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও বালাগঞ্জে এম ইলিয়াস আলী উচ্চ বিদ্যালয়, বিশ্বনাথে রামপাশায় শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, রামধানায় পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশন ও দৃষ্টিনন্দন শাহী ঈদগাহ নির্মাণ করেন। নিজের সংসদীয় আসনের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় নতুন ভবনের পাশাপাশি প্রায় ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ইউনিয়ন কমপ্লেক্স নির্মাণ করেন। তাছাড়া গ্রাম থেকে গ্রামান্তর পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেন তিনি। এর বাইরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দুই লেনে রূপান্তর কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। বন্যা দুর্গত এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, হাওরবাসীর উন্নয়নে ডাইক ও স্লুগেইট নির্মাণ করেন। পাশাপাশি কুশিয়ারা, সুরমা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে জনপদকে রক্ষা করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেন। যার সুফল এখন পাচ্ছে এলাকার মানুষ। বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ হচ্ছে প্রবাসীর অধ্যুষিত এলাকা। তাঁর স্বপ্ন ছিল- সব আধুনিকতায় পরিপূর্ণ থাকবে এই জনপদ। এম ইলিয়াস আলী সেটি করতে পেরেছিলেন বলে আজো প্রবাসীদের মনের মণিকোঠায় তিনি প্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত।
এলাকার উন্নয়নের প্রাণ পুরুষ এম ইলিয়াস আলী সিলেটবাসীর প্রাণের দাবি ‘টিপাইমুখ বাধ নির্মাণ প্রকল্পের বিরুদ্ধে ছিলেন এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। যখন সবাই প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছিলেন না, তখন তাঁর নেতৃত্বেই সিলেটে গড়ে উঠে টিপাইমুখ বাধ বিরোধী দুর্বার আন্দোলন। আর এই আন্দোলনে শরীক হন সিলেটের সব শ্রেণীপেশার মানুষ। ২০১২ সালে তার আহবানে সিলেটের কোটি মানুষ টিপাইমুখ বাধের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন হরতাল পালন করেন। তাঁর আহবানে সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে সমাবেশে ঢল নেমেছিল লক্ষ জনতার। আর সেই সমাবেশে ভাষণ দেন দেশনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। টিপাইমুখ অভিমুখে দেশের মানুষ লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেন। সিলেটের কোটি মানুষের দাবি নিয়ে আন্দোলন করার কারণে সিলেটবাসীর প্রাণের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন এম ইলিয়াস আলী। শাসকগোষ্ঠির শত হুমকির মুখেও তিনি মানুষের দাবি আদায়ে অটল, অবিচল ছিলেন।
জননেতা এম ইলিয়াস আলী তাঁর রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারণে দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। টিপাইমুখ বাঁধ বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন হঠাৎ করে শাসকগোষ্ঠি গুম করে ফেলে। এম ইলিয়াস আলী গুমের পর বিশ্বনাথে পুলিশের গুলিতে হাসিমুখে জীবন দিয়েছেন সেলিম, মনোয়ার ও জাকির নামের তিন কর্মী। গুলিবিদ্ধ হয়ে বহু মানুষ পঙ্গুত্ব বরন করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী একাধিক মামলায় আসামি হয়ে ফেরারী জীবন কাটাচ্ছে। এম ইলিয়াস আলীর গুমের পর কোটি মানুষ তার অপেক্ষায় প্রহর গুনলেও জনতার এ নেতাকে এখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা সন্তানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছুটে গেলেও কোনো লাভ হয়নি। এম ইলিয়াস আলীর শিশু সন্তান সাইয়ারার আর্তনাদ ক্ষমতার মসনদেও মানবতার সহযোগিতা পায়নি। পিতাকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে আমেরিকার তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের কাছেও চিঠি দেয় সাইয়ারা নাওয়াল।
দেশের মানুষ জানেন- বর্তমান সরকারের গুম নামক কারাগারেই বন্দি প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী। জনতার এম ইলিয়াস আলীকে জনতার মাঝে আবার ফিরে আনতে হবে। তার অনুপস্থিতিতে সিলেট-২ বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর সহধর্মিনী তাহসিনা রুশদীর লুনা। স্বামীর অভাব পূরণে, স্বামীর স্বপ্ন পূরণে এম ইলিয়াস আলীকে গুম করার পর থেকে একটি দিনের জন্য তিনি এলাকার মানুষকে ভুলেননি। সুদিনে-দুর্দিনে এম ইলিয়াস আলীর মতো এলাকার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি স্বামীর জন্য চালিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তর লড়াই। এই লড়াইয়ে শরীক সিলেট সহ বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের মানুষ। ইতিমধ্যে উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এলাকার মানুষ প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলীর গুমের জবাব দিয়েছে।
এখন গণতন্ত্রের তীব্র আকাঙ্খায় দেশের মানুষ। চায় ভোট ও মতের অধিকার। সেই অধিকারও হরণ করা হয়েছে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির পাঁতানো নির্বাচনে ২০১৮ সালের রাতে ভোটের নির্বাচন সহ সকল স্থানীয় নির্বাচনে। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর-বালাগঞ্জের মানুষ। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। আর প্রত্যাশিত সুযোগ পেলেন প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী গুমের জবাব দেবে সিলেট-২ আসনের মানুষ। জনরায়ের মাধ্যমে গুম নামক কারাগার থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে প্রাণের নেতা, প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলীকে। তাঁরই স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনার আগামী লড়াইয়ে সবাইকে পাশে থেকে শরীক হওয়ার আহবান জানাচ্ছেন।
লেখক- রাজনীবিদি ও কলামিস্ট, একান্ত সহকারী জননেতা এম. ইলিয়াস আলী।