এটিএম জালিয়াতিতে জড়িত অর্ধশত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান
ঢাকায় বেশ কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথে জালিয়াতির ঘটনায় ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জড়িত বলে গোয়েন্দাদের তথ্য দিয়েছেন এ ঘটনায় গ্রেফতার জার্মান নাগরিক পিওতর সেজেফান মাজুরেক।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এবং কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত বিদেশি নাগরিক পিওতরকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে আনা হয়েছে। পিওতর জার্মান নাগরিক সেটি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তিনি জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। পিত্ততর গত এক বছরে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এসব কাজে দেশের ৪০-৫০ জন ব্যবসায়ী জড়িত বলেও জানিয়েছেন তিনি। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জালিয়াতিতে জড়িত, নাকি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের নাম এতে জড়ানো হয়েছে, তা যাচাই করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
গত ৬-১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইস্টার্ন, সিটি ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) এটিএম কার্ডে জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। রাজধানীর গুলশান, বনানী ও মিরপুরের কালশী এলাকায় তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের চারটি বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে কার্ড জালিয়াতি করা হয়। পরে গ্রাহকের প্রায় ২১ লাখ টাকা তুলে নেয় চক্রটি। তারা ১,২০০ কার্ডের তথ্য চুরি করে।
এরপর ইউসিবি ও সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা করলে তার তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ইউসিবিএলের করা মামলায় এজাহারের সঙ্গে এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরায় পাওয়া এক বিদেশির ছবিও দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ২২ ফেব্রুয়ারি পিওতর ও সিটি ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়।