ফেডারেল রিজার্ভ বলছে হ্যাকিং হয়নি! অর্থমন্ত্রী বললেন ‘মামলা করব’

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চিত বৈদেশিক রিজার্ভ একাউন্ট হ্যাকিংয়ের ঘটনায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে ফেডারেল রিজার্ভ বলছে সম্পূর্ণ উল্টো কথা। তাদের দাবি, হ্যাকিংয়ের কোনো ঘটনাই ঘটেনি!

মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফেডারেল রিজার্ভের ব্যবস্থায় হ্যাকিংয়ের কোনও প্রমাণ নেই। তবে বাংলাদেশে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ তোলা হয়েছে কি-না, গোপনীয়তার স্বার্থে সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন ফেডারেল রিজার্ভের মুখপাত্র অ্যান্ড্রে প্রিস্ট।

এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই মুখপাত্র তার বিদেশি সহযোগীর দাবির বিষয়ে কোনো তদন্ত হচ্ছে কি-না, সে ব্যাপারেও কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার এই অর্থ লোপাটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো দায় আছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এখানে কোনো রকমের দোষ কিছু নেই। এটা ফেডারেল রিজার্ভের, যারা এটা সেখানে হ্যান্ডেল করেন, তাদের কোনো গোলমাল হয়েছে। তারা (ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক) যদিও বলছে, তাদের কোনো দায়িত্ব নেই, তবে এটা হতেই পারে না।

তিনি বলেন, আমি যা শুনেছি বা জেনেছি, ওখান থেকে তারা (ফেডারেল রিজার্ভ) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বার্তা প্রেরণ করেন। আমরা তোমাদের এই রকম একটা হুকুম পেয়েছি। তোমরা এটা কনফার্ম কর। জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এটা ফলস। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনা পাওয়ার আগেই লেনদেনটা হয়ে গেছে। সুতরাং ফেডারেল রিজার্ভ কোনোমতেই তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারবে না।

ফেডারেল রিজার্ভ দায় অস্বীকারের পর সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অফ কোর্স তাদের বিরুদ্ধে কেস করব। তাদের কাছে টাকা রাখছি, তারাই এই জন্য রেসপনসিবল। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে কেস করব।

এর আগে গত সোমবার অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে বাংলাদেশের সঞ্চিত ১০ কোটি ডলার ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে চীনা হ্যাকাররা হাতিয়ে নেয় বলে সম্প্রতি ফিলিপিন্সের একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ব্যাংক চ্যানেলে ফিলিপিন্সে ওই অর্থ নিয়ে সেখান থেকে ক্যাসিনোসহ একাধিক হাত ঘুরে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশের এই অর্থ।

লোপাট অর্থের একটি অংশ উদ্ধারের কথা সোমবারই জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কী পরিমাণ অর্থ সরানো হয়েছিল এবং তার কতটুকু উদ্ধার হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।


Spread the love

Leave a Reply