১৫ লাখ বাংলাদেশি নিয়োগের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত মালয়েশিয় মন্ত্রীসভায়
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
মালয়েশিয়ায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আহমাদ জাহিদ হামিদির বরাত দিয়ে দেশটির জাতীয় দৈনিক স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগেও গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিতের কথা জানান মালয়েশিয়ার এই উপ-প্রধানমন্ত্রী। তার আগের দিনই ১৫ লাখ শ্রমিক নিয়োগে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চুক্তি সই হয়। পরে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি রিচার্ড রায়ত দাবি করেন সরকার বিদেশী শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করলেও তা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তবে জাহিদ হামিদি এবার স্পষ্ট করে জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়ার বিষয়টিও বন্ধ বলে বিবেচিত হবে।
এমনকি নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের পাশাপাশি যেসব শ্রমিক মালয়েশিয়ায় কাজ করছে কিন্তু তাদের অনুমতি নেই বা অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের বৈধতার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন করতে হবে বলেও জানান তিনি।
উপ-প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা আহমেদ জাহিদ আরও বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে। এই সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তা এগিয়ে আনা হয়েছে। কারণ নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যতই সুযোগ দেওয়া হয়, তারা ততই তা লঙ্ঘন করে।
তিনি নিয়োগদাতা ও রিক্রুটমেন্ট সংস্থাগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নিয়ম না মানলে এবার শুধু জরিমানা দিয়েই খালাস পাওয়া যাবে না। আরো কঠোর শাস্তির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে তাদের।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি রফতানিকারকদের যুক্ত করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় (জিটুজি প্লাস) আগামী পাঁচ বছরে স্বল্প খরচে ১৫ লাখ কর্মী নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। রাজধানীর ইস্কাটনের প্রবাসীকল্যাণ ভবনে এতে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতো রিচার্ড রায়ত আনাক জায়েম সই করেন।