জামায়াত নেতা নিজামীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি নিজামীর পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষরের পর এ পরোয়ানা জারি করেন।

এর কিছুক্ষণ পর লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানাটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই পরোয়ানার কপি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া। তবে নিজামীর প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যেই রিভিউ আবেদন করা হবে।

নিজামী সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন ১৫ দিনের মধ্যে। আসামিপক্ষের রায়ের কপি পাওয়া অথবা আসামিকে রায় শোনানোর মধ্যে যেটি আগে হবে, তখন থেকেই শুরু হবে এই দিন গণনা।

নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যু পরোয়ানার ভিত্তিতেই সরকারের তত্ত্বাবধানে কারা কর্তৃপক্ষ সাজা কার্যকরের প্রস্তুতি নেবে। তবে রিভিউ আবেদন হলে তার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে দণ্ড কার্যকর করা যাবে না। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তী আপিল বিভাগ থেকে পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপিসহ অন্য কাগজপত্র নিয়ে ট্রাইব্যুনালে পৌছান।

মঙ্গলবার বিকেলে নিজামীর ফাঁসির ১৫৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ আপিল মামলার রায় প্রদানকারী চার বিচারপতি রায়ে স্বাক্ষরের পর তা প্রকাশিত হয় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে। অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। পূর্ণাঙ্গ রায়টি লিখেছেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা।

রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করতে ১৫ দিনের সময় পাবে আসামিপক্ষ। বুধবার থেকে ১৫ দিনের ক্ষণ গননা শুরু হবে। এ সময়ের মধ্যে কেউ রিভিউ আবেদন না করলে আইন অনুসারে দণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার।

অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, রিভিউ হলে রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। রিভিউ খারিজ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া ফের শুরু হবে। সেক্ষেত্রে সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন আসামি। প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে কিংবা আবেদন করার পর নাকচ হয়ে গেলে চূড়ান্তভাবে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।


Spread the love

Leave a Reply