সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
স্পোর্টস ডেস্কঃ টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখলো আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় শেষ মুহূর্তের গোলে নেদারল্যান্ড-আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে মাঠে নামে দু’দল। শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে নেদারল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন নাহুয়েল মলিনা। তার গোলেই লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৭১ মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে গোল করে আর্জেন্টিনার লিড বাড়িয়ে দেন মেসি। এরপর জোড়া গোল করে নেদারল্যান্ডকে সমতায় ফেরায় উট উইঘোর্স্ট। এরপর অতিরিক্ত সময়ের খেলা সমতায় শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ২০১৪ সালে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করে টাইব্রেকারে ডাচদের ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো আর্জেন্টিনা।অতিরিক্ত সময়ের খেলার শুরুতেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর ম্যাচের ৯৫ মিনিটে বাম দিক থেকে ক্রস বাড়ান স্টিভেন বার্গহাউস। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৯৮ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় ডাচরা। ফাউলের কারণে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় নেদারল্যান্ড। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা।ম্যাচের ১০০ মিনিটে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ১০৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয় ওটামেন্ডি। এরপর আর কোন গোল না হলে সমতায় অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষ করে দু’দল।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে শুরুতেই ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১০৬ মিনিটে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। তবে তা থেকে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ম্যাচের ১০৯ মিনিটে ডান দিক থেকে আবারও ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। সেখান শট ফ্রি কিক নিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন মেসি। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।ম্যাচের ১১২ মিনিটে ফ্রি কিক পায় ডাচরা। ম্যাচের ১১৪ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে মার্টিনেজের নেওয়া শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর ম্যাচের ১১৫ মিনিটে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে পাওয়া বলে এঞ্জো ফার্নান্দেজ শট করলে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। তবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা।