উ. কোরিয়ার উপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, বিরোধীতা করছে চীন
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
অবৈধ পারমাণবিক পরীক্ষা ও স্যাটেলাইট নিক্ষেপের পর নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এর কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে নতুন করে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরোধীতা করে বিবৃতি দিয়েছে চীন।
এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আমেরিকায় থাকা উত্তর কোরিয়ার সম্পত্তি জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ায় সব ধরনের রপ্তানি ও বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়। এটা শুধু মার্কিন নাগরিক নয়, আমেরিকার বাইরের কেউ যদি তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে তাকেও কালো তালিকাভুক্ত করা হবে এই আদেশের অধীনে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট বলেন, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, সারা বিশ্ব উত্তর কোরিয়ার অবৈধ পারমাণবিক পরীক্ষা এবং ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না। উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় না আসা পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলবে না। ওবামা বলেন, দেশটির জনগণ তাদের লক্ষ্য নয়, এর জন্য দায়ী শুধু দেশটির নেতৃত্ব।
গত ৬ জানুয়ারি উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। এছাড়া পরের দিন রকেট পরীক্ষাও চালায় পিইংইয়ং। এর জেরে গত মাসে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আরোপিত নতুন এক নিষেধাজ্ঞায় স্বাক্ষর করে চীন।
তবে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধীতা করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, চীন উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধী। খবর রয়টার্সের। বেইজিংয়ে বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন, আমরা সব সময়ই বলে এসেছি একতরফা যেকোন নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করেনা চীন। এছাড়া বর্তমান সময়কে কোরিয়া অঞ্চলের স্পর্শকাতর সময় হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার বৃহত্তর ব্যাবসায়ীক অংশীদার চীনের শক্তিশালী প্রতিশ্রুতি ছাড়া পিয়ংইয়ংয়ের ওপর আরোপিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর হবে বলে বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।