২০২২ সালে ৪৫,৭৫৬ জন অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে পৌঁছেছেন
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ ২০২২ সালে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী বৃটেনে আশ্রয় নিয়েছে। রোববার দেশটির সরকার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানা গেছে, গত বছর মোট ৪৫ হাজার অবৈধ অভিবাসী বৃটেনে প্রবেশ করেছে। তারা ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে বৃটেন পৌঁছায়। এই প্রক্রিয়া বন্ধে ফ্রান্সের সঙ্গে কাজ করছে বৃটেন। এছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টাও করেছে বৃটেন। তবে তাতে সফল হয়নি দেশটি।
রোববার বৃটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বড়দিনের দিনও ৯০ জন নিয়ে একটি ছোট নৌকা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছে। এরফলে এ বছর মোট ৪৫ হাজার ৭৫৬ জন অভিবাসী বৃটেনে গিয়েছে। নিউ ইয়ারের আগে এ ছাড়া আর কোনো অভিবাসী বোঝাই নৌকা সনাক্ত হয়নি। মূলত ২০১৮ সাল থেকেই এভাবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে বৃটেন যাওয়া শুরু হয়েছে। ইরাক, ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশ থেকে এসব অভিবাসী বৃটেন যাচ্ছে।
তবে ২০২২ সালের শেষ সময়ে আসা অভিবাসীদের ৪২ শতাংশই ছিল আলবানিয়ার নাগরিক।
বৃটিশ সরকারকে এখন এই অভিবাসীদের জন্য প্রতিদিন ৬৬ লাখ ডলার খরচ করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, তার সরকার দ্রুতই পার্ক, স্টুডেন্ট হল এবং সামরিক এলাকাগুলোতে ১০ হাজার জনের থাকার ব্যবস্থা করবে। সুনাকের পূর্ববর্তী লিজ ট্রাস এবং বরিস জনসনও ইংলিশ চ্যানেল ক্রসিং বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গেছে। তবে তাদের সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। জনসনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল গত বছরের এপ্রিল মাসে রুয়ান্ডার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন। এর অধীনে বৃটেনে ধরা পড়া অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেয়া যাবে। কিন্তু অভিবাসীপন্থী এনজিওগুলোর আইনি পদক্ষেপের কারণে এই চুক্তি থেকে সরে আসতে হয় বৃটেনকে।
এদিকে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান গত নভেম্ভর মাসে ঘোষণা করেছেন, অভিবাসী আসা বন্ধ করতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি করেছে বৃটেন। এই চুক্তির অধীনে বৃটেন ফ্রান্সকে বছরে ৭৫ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে। বিনিময়ে ফ্রান্স ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে অভিবাসীদের বৃটেন যাওয়া ঠেকাতে কাজ করবে। গত তিন বছরে ফ্রান্সের সঙ্গে এ ধরণের আরও তিনটি চুক্তি করেছে বৃটেন। কিন্তু তারপরেও অভিবাসীদের যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে সুনাক বলেন, কোনো চুক্তিই ‘জাদুর মতো’ কাজ করে না।