সিদরাতুল মুনতাহা সাবা’র গ্রামার স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ড ফলাফল
ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশী এক ক্ষুদে শিক্ষার্থী, লন্ডনের নিউহ্যাম বারার বাসিন্দা এম নজমুল ইসলাম ও সৈয়দা শাহনাজ আক্তারের ছোট মেয়ে সাবা’র এবারে ৫টি স্কুলে (বারা’য়) পরীক্ষা দিয়ে
পাচটিতেই প্রথম সারির ফলাফল অর্জন করে লন্ডনবাসী সহ নিজ কমিউনিটির সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়। বিশেষ করে ইস্টলন্ডনের একমাত্র গ্রামার স্কুল “উডফোর্ড কাউন্টি হাইস্কুল ফর গার্লস” এ সাবা ১৩৩.৩৮ মার্কস পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে সমগ্র পূর্বলন্ডনে নিজ কমিউনিটির সবার নজর কেড়েছে। বর্তমানে সাবা নিউহ্যাম বারা’র সাউদার্ন রোড় প্রাইমারী স্কুলের ষষ্ঠ শ্রের্ণীর ছাত্রী। সাবা’র এই ফলাফলে তার স্কুলসহপাঠী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ সবাই আনন্দিত।
যুক্ত্ররাজ্যের টপ পারফর্মিং স্টেট স্কুল ‘দ্যা হেনরিয়েটা বার্নেট স্কুল (The Henrietta Barnett School) এ সর্বাচ্চ ব্যান্ড-এ (Band –A) অর্জন করেছে। তাছাড়া ইস্ট লন্ডনের জনপ্রিয় স্কুল, রেডব্রিজ বারা’ র ”উডফোর্ড কাউন্টি হাইস্কুল ফর গার্লস” (Woodford County High School For Girls) এ সাবা প্রথম স্থান অর্জন করে। ‘কেন্ট কাউন্টি কাউন্সিল’ (Kent County Council) এ ৪১৬ মার্কস পেয়ে টপ র্যাংকিং এ রয়েছে। “লন্ডন বারা অফ বেক্সলি” (London Borough Of Bexley) তে সাবা ২৬১ পেয়ে টপ ১৮০ তে স্থান অর্জন করে নিয়েছে I ‘সি.এস.এস.ই -এসেক্স” (CSSE -Essex) এ ৩৯০ মার্কস পেয়ে প্রথম সারিতে আছে। উপরোক্ত পাচটি স্কুল /বারা’র মধ্যে সাবা যুক্তরাজ্যের টপ স্টেট স্কুল ‘দ্যা হেনরিয়েটা বার্নেট স্কুল’কেই প্রথম পছন্দের স্কুল হিসেবে উল্লেখ করেছে। যেখানে তার একমাত্র বোন মিফতাহুল জান্নাত নোভা দশম শ্রেণির ছাত্রী। উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালে ঠিক একই রকম পাঁচটি স্কুলে (বারা’য়) পরীক্ষা দিয়ে
পাচটিতেই প্রথম সারির ফলাফল অর্জন করে নোভা লন্ডনবাসী সহ নিজ কমিউনিটির সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছিল। এখন দু’বোন ই ইউ.কে র টপ পারফর্মিং স্টেট স্কুলের ছাত্রী।
সাবা ও নোভা মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড এর অজমির মাস্টার বাড়ীর মরহুম আব্দুল গণী মাস্টার এর নাতনীদ্বয়।
সাবা’ র মা-বাবা জানান, প্রথম শ্রেণী থেকেই সাবা পড়াশোনায় অনেক মনোযোগী, সে তার স্কুল হোমওয়ার্ক নিজে নিজেই করতে পছন্দ করে। চিত্রাঙ্কন, বই পড়া ও নতুন নতুন জায়গা ভ্রমন তার শখ। সাবা তার বড় বোন নোভার মতো, মা-বাবা ও দাদার পেশা শিক্ষকতাই পছন্দ করে। তবে তার নানার (বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জনাব সৈয়দ আব্দুল মতিন) ইচ্ছে অনুযায়ী সাবা মাঝেমধ্যে বড় হয়ে ব্যারিস্টার হওয়ার ইচ্ছাও পোষণ করে। মা বাবা সহ পরিবারের সবাই সাবা-নোভা’র জন্য দোয়াপ্রাথী যেনো তারা সবার আগে নিজেদেরকে শুধু সফল ছাত্রী নয়, ভালো মানুষ হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।