নীরব অর্থ প্রদানের জন্য ৩৪টি ফৌজদারি অভিযোগে দোষী নন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডেস্ক রিপোর্টঃডোনাল্ড ট্রাম্প দুই মহিলাকে চুপচাপ অর্থ প্রদানে তার অভিযুক্ত ভূমিকার জন্য মিথ্যা ব্যবসার রেকর্ডের ৩৪টি অপরাধমূলক গণনার জন্য দোষী সাব্যস্ত না করার পরে আদালত ত্যাগ করেছেন।
তার স্বাক্ষরযুক্ত গাঢ় স্যুট এবং লাল টাই পরা, ট্রাম্প, ৭৬, তার আইনী দলের মধ্যে তার হাত গুটিয়ে বসেছিলেন কারণ তিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বসা বা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।
নিউ ইয়র্ক আইনের অধীনে তাদের সর্বোচ্চ মোট ১৩৬ বছরের কারাদণ্ড রয়েছে, যদিও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কোনো প্রকৃত সাজা প্রায় অবশ্যই অনেক কম হবে।
ট্রাম্প, ৭৬, ট্রাম্প টাওয়ারে তার নিউ ইয়র্কের বাসভবন থেকে বের হয়ে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের দ্বারা অপেক্ষা করা একটি এসইউভিতে পা রাখার সময় বাতাসে মুষ্টি ধরেছিলেন।
আদালতে যাওয়ার পথে তিনি তার ট্রুথ সোশ্যাল পেজে লিখে অভিজ্ঞতাটিকে ‘এত পরাবাস্তব’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন: ‘ওয়াও, তারা আমাকে গ্রেপ্তার করতে চলেছে। বিশ্বাস করতে পারছি না আমেরিকায় এমন হচ্ছে। মাগা!’
নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালত চত্বর ছেড়েছেন তিনি। আজই ফ্লোরিডায় নিজ বাড়িতে ফেরার কথা রয়েছে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের।
বিবিসির খবরে বলা হয়, আদালদত থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেও তিনি এড়িয়ে যান। ফ্লোরিডায় ফিরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
এর আগে আজ মঙ্গলবার ম্যানহাটানের আদালতে পৌঁছার পর ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাঁকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর বিচারকের সামনে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁকে কিছুটা বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আইনজীবীরা ছিলেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, আদালতে শুনানিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। পরে সার্বিক প্রক্রিয়া শেষে তিনি আদালত চত্বর ছেড়ে যান।
ট্রাম্পই প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হলেন।
এর আগে আদালত চত্বরে ঢোকার আগে ট্রাম্প সেখানে সমবেত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তিনি ট্রাম্প টাওয়ার থেকে গাড়িবহর নিয়ে ম্যানহাটান ক্রিমিনাল কোর্ট ভবন এলাকায় যান। ওই এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
আদালত ভবনে ঢোকার সময় সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন ট্রাম্প। তাঁর সমর্থনে ওই এলাকায় বিক্ষোভকারী ও তাঁর সমর্থকেরা জড়ো হয়েছেন। তাঁদের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখে পুলিশ। আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দেয়।