গ্রীস সীমান্তে অভিবাসীদের উপর পুলিশের হামলা
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
গ্রীস সীমান্তে অবস্থানরত অভিবাসীদের ওপর রাবার বুলেট, ষ্ট্যান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে মেসিডোনিয়ার পুলিশ। এ ঘটনাকে অমানবিক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছে গ্রীস কর্তৃপক্ষ।
রোববার বিবিসির এক খবরে বলা হয়, গ্রিসের পাশ দিয়ে সীমান্ত প্রাচীর ভেঙে মেসিডোনিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করছিল অভিবাসীরা। এ সময় তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। এছাড়াও রাবার বুলেট ও ষ্ট্যান গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে।
গ্রিসের ইদোমেনি আশ্রয়শিবিরের পাশে সীমান্তে পুলিশের এ হামলায় বহু লোক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মেডিসিন স্যানস ফ্রন্টিয়ার নামে একটি দাতব্য সংস্থা বলছে তারা অন্তত ৩০০ আহত লোককে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। হামলায় ৩০ জন রাবার বুলেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, ১০ জনকে বেধরক পিটিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইদোমেনিতে আটকা পড়ে আছে প্রায় ১১ হাজার অভিবাসী। তারা মেসিডোনিয়ায় ঢুকতে চায়। কিন্তু মেসিডোনিয়া গ্রিস সীমান্তে প্রাচীর তোলায় তা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চরম মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে এক বিবৃতিতে মেসিডোনিয় পুলিশের বর্বর এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে গ্রীস। গ্রীস সরকারের মূখপাত্র জর্জ ক্রিসটিস বলেছেন, অরক্ষিত ও অসহায় মানুষের উপর রাবার বুলেট ও রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা ভয়াবহ ও অত্যান্ত দু:খজনক।
বলকান রাষ্ট্রগুলো উত্তর ইউরোপে যাওয়ার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দেওয়া অভিবাসীরা কাঙ্ক্ষিত দেশে পৌঁছানোর আগেই পথিমধ্যে চরম সংকটে পড়েছে। পদে পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে তারা।
এ সপ্তাহ থেকে গ্রিস সেসব অভিবাসীকে ফেরত পাঠাচ্ছে, যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের চুক্তিমতে আশ্রয় প্রার্থনার যোগ্য নয়। এরই মধ্যে কয়েক শ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে গ্রিস। পাকিস্তানের প্রায় ৩০০ অভিবাসীকে গ্রিসের দ্বীপগুলো থেকে তুরস্কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর চুক্তির পর অভিবাসীদের স্রোত মোটা দাগে কমে গেছে।