রাশিয়ার বিমানবন্দরে ড্রোন হামলায় সামরিক বিমানে আগুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিম এলাকার শহর পেসকভের একটি বিমানবন্দরে ড্রোন হামলায় চারটি সামরিক বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দেশটির বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
এর মধ্যে দুটি ইল্যুশিন এল-৭৬ পরিবহন বিমানে আগুন ধরে যায় বলে জানা যাচ্ছে।
স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন, এর আগে আরেকটি ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে দেয় সামরিক বাহিনী। তিনি একটি ভিডিও আপলোড করেছেন যাতে বড় ধরনের একটি আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। সেই সময় বিস্ফোরণের শব্দও শুনতে পাওয়া যায়।
পেসকভ শহরটি ইউক্রেন থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আর এস্তোনিয়া সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।
পেসকভের আঞ্চলিক গভর্নর মিখাইল ভেদের্নিকভ টেলিগ্রামে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘’পেসকভ বিমানবন্দরের ওপর চালানো একটি ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।‘’
তিনি নিজে ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়ে মি. ভেদের্নিকভ লিখেছেন, ‘’প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।‘’
জরুরি সেবা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রাশিয়ার তাস সংস্থা একটি প্রতিবেদনে বলছে, হামলায় চারটি ইল্যুশিন বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে দুটিতে আগুন ধরে গেছে।
মে মাসের শেষের দিকেও পেসকভ অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার ভেতরে একের পর এক বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন হামলার সংখ্যা বেড়েছে।
সর্বশেষ এই হামলার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোন বক্তব্য দেয়নি ইউক্রেন। যদিও রাশিয়ার ভেতরে কোন হামলার বিষয়ে দেশটি কমই মন্তব্য করে থাকে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে সর্বশেষ আরও যেসব তথ্য জানা যাচ্ছে:
- রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, কৃষ্ণ সাগরে একটি অভিযান চালানোর চেষ্টা করার সময় ইউক্রেনের দ্রুতগামী চারটি নৌকা তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এসব নৌকায় ইউক্রেনের ৫০ জন সৈনিক ছিল বলে রাশিয়া জানিয়েছে।
- দক্ষিণাঞ্চলের শহর ব্রেয়ানস্ক এবং মধ্যাঞ্চলের শহর অরয়লে ইউক্রেনের তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
- রাশিয়ার তাস বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, মস্কোর ভনুকোভো বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
গত একমাসের মধ্যে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ বিভিন্ন শহরে একাধিক ড্রোন হামলা হয়েছে।
রাশিয়ার কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহেই বেলগোরাদ অঞ্চলে একটি ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। এর আগে মস্কোর কেন্দ্রস্থলে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল।
তার কয়েকদিন আগেই সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি সামরিক ঘাটিতে ড্রোন হামলায় রাশিয়ার দূরপাল্লার একটি বোমারু বিমান ধ্বংস হয়ে যায়।
যদিও ইউক্রেন সুনির্দিষ্টভাবে কোন হামলার দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে বলেছিলেন, রাশিয়ার সাথে যেহেতু যুদ্ধ চলছে, সেই কারণে সেদেশের ভেতরে হামলা চালানো ‘অনিবার্য, স্বাভাবিক এবং একেবারে ন্যায্য একটি প্রক্রিয়া’।