শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিশাল গণ পদযাত্রা
ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) লন্ডনে বিশাল গণ পদযাত্রা কর্মসূচি করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি এন্ড হিউমান রাইটস; নামের এ পদযাত্রা স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে সেন্ট্রাল লন্ডনের হাইড পার্ক কর্নার থেকে শুরু হয়। বিভিন্ন কমিউনিটি ও পেশাজীবী সংগঠনের লোকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন শহর থেকে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র জোনাল কমিটির নেতৃত্বে আসা খন্ড খন্ড মিছিল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সেন্ট্রাল লন্ডনের পুরো এলাকা পরিণত হয় একখন্ড প্রতিবাদী বাংলাদেশে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরে যুক্তরাজ্যে এতবড় প্রতিবাদ সমাবেশ আগে কখনো হয়নি বলে মনে করেন অনেকে । দুপুর ২ টায় যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদের নেতৃত্ব শুরু হয় গণ পদযাত্রা। পদযাত্রাটি ওয়েস্ট মিনিস্টার, ট্রাফালগার স্কয়ার হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী’র কার্যালয় ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে গিয়ে শেষ হয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা গণ পদযাত্রাটি সেখানে ঘন্টাখানিক অবস্থান শেষে স্মারকলিপি প্রদান করে । গণ পদযাত্রায় ‘হঠাও হাসিনা – বাঁচাও দেশ, তারেক রহমানের নির্দেশ – টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগানে সেন্ট্রাল লন্ডনের হার্ট বলে পরিচিত পার্ক লেন, ওয়েস্টমিনিস্টার, ডাউনিং স্ট্রিটের পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। গণ পদযাত্রা যখন রাস্থা প্রদক্ষিণ করছিল তখন বিভিন্ন জাতি বর্ণের মানুষ দাড়িয়ে স্বাগত জানায়। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাবেশে যোগ দিয়ে নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করে অবিলম্বে নির্বাচনকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান।
বর্তমান সরকার আমেরিকা, ব্রিটেনসহ উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র ও সভ্য দুনিয়া থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে দাবি করে বক্তারা আগামীতে যদি আবারো ভোটারবিহীন নির্বাচন করার চেষ্টা করা হয় তাহলে কঠিন পরিণতির দিকে দেশকে ঠেলে দেয়া হবে বলে সতর্ক করেন । এখন পদত্যাগ করলে হয়তো মানুষের রোষানল থেকে মুক্তি পেতেও পারে। আর এতো কিছুর পরেও যদি সরকার পদত্যাগ না করে তাহলে দেশে-বিদেশে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে বিদায় করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। তখন কিন্তু পালানোর পথ খোঁজে পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা শর্তে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়ার জোর দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দল ও মতের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হামলা বন্ধ করার জোর দাবি জানানো হয়।
হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিশাল গণ-পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন ভয়েস ফর গ্লোবাল এর ড. হাসনাত এম হোসাইন, কে এম আবু তাহের চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি মেয়র আ ম অহিদ, সাংবাদিক শামসুল আলম লিটন, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, উপদেষ্টা আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহসভাপতি গোলাম রাব্বানি সোহেল, তাজুল ইসলাম, শেখ শামসুদ্দিন শামীম, ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান, সলিসিটর ইকরামুল হক মজুমদার, আব্দুস সাত্তার, কাজী ইকবাল হোসেন দেলোয়ার, আশরাফুল আলম হীরা, আবেদ রাজা, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, খসরুজ্জামান খসরু, গোলজার আহমেদ, মিসবাহুজ্জামান সোহেল, ড. মুজিবুর রহমান (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), সুজাতুর রেজা, আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, হাসনাত কবির খান রিপন, হেলাল নাসিমুজ্জামান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শরিফুজ্জামান চৌধুরী তপন, শহিদুল ইসলাম মামুন, নাসিম আহমেদ চৌধুরী, কামাল উদ্দিন, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক আহবায়ক দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক এমদাদ হোসেন টিপু, শামসুর রহমান মাহতাব, ফখরুল ইসলাম বাদল, এস এম লিটন, এম এ সালাম, সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, আসাদুজ্জামান আহমদ, জাহেদ আলী, আব্দুল বাসিত বাদশা, বাবুল আহমদ চৌধুরী, মোস্তফা সালেহ লিটন, সালেহ আহমদ জিলান, নাজমুল ইসলাম লিটন, এডভোকেট খলিলুর রহমান, শাহীন মিয়া, টিপু আহমদ, সেলিম আহমেদ (সহ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, মোশাহিদ আলী, কামাল হোসেন, তৈয়বুর রহমান হুমায়ুন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া, ব্যারিস্টার আব্দুল মাজিদ তাহের, মওদুদ আহমদ, রাজু আহমদ, প্রচার সম্পাদক ডালিয়া বিনতে লাকুড়িয়া, কোষাধ্যক্ষ সালেহ গজনবী, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার লিয়াকত আলী, যুব বিষয়ক সম্পাদক খিজির আহমদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ এনাম তানিম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক কামাল মিয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল আহমদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আখতার মাহমুদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক হাওলাদার, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাহেদ উদ্দিন চৌধুরী, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিপু, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার শামসুজজোহা, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ গাজী, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সহ প্রচার সম্পাদক মইনুল ইসলাম, তোফাজ্জল আলম, এডভোকেট শারিয়ার কবির, মুক্তাদির আলী, মোঃ তৌকির শাহ, আব্দুল আহাদ, শিবলী শহীদ খুশনবিশ, তুরন মিয়া, কদর উদ্দিন, রাজ্ হাসান, সোহেল আহমদ সাদিক, সৈয়দ মোসাদ্দিক আহমদ, ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন, মোঃ আরিফ আহমদ, সৈয়দ শামীম আহমদ, সোহেল আহমদ, লুবেক আহমদ চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন, মোস্তাক আহমদ, রুহুল ইসলাম, এনামুল হক লিটন, শেখ আলী আহমদ, জসিম উদ্দিন সেলিম, আব্দুল হামিদ খান হেভেন, খালেদ চৌধুরী, ইউনুছ পাঠান বুলু, মিসবাউল ইসলাম বাবু, আমিনুর রহমান আকরাম, শরীফ উদ্দিন ভূঁইয়া বাবু, মির্জা নিক্সন, শরিফুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, আলী আকবর খোকন, মিজানুর ইসলাম মির্জা, সালেহ আহমদ, ফয়সল আহমদ, নূরে আলম সোহেল, নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসাইন, সুজাত আহমদ, শিশু মিয়া, শারিয়ার রহমান জুনেদ, তপু শেখ, নাজমুল হোসেন চৌধুরী,বিএনপি নেতা গোলাম সরওয়ার , জালাল উদ্দিন, তারেক হোসেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিন, আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার শাহজাহান, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাবর চৌধুরী,
যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ জে লিমন, শাহীন আহমদ, আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার লিটন আফিন্দি, কেন্দ্রীয় জাসাসের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, যুক্তরাজ্য জাসাসের সাবেক সভাপতি এমাদ আহমদসহ প্রমূখ। যুক্তরাজ্য বিএনপির জোনাল কমিটির সাবেক দায়িত্বশীলদের নেতৃত্বে এবং অঙ্গ সংগঠনসমূহের জোনাল কমিটির নেতৃত্বে এবং কমিউনিটি সংগঠনের উপস্থিতিতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী গণ পদযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন ।
স্মরণকালের এই গণ-পদযাত্রায় লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে নারী পুরুষ নির্বিশেষে বিশ হাজারের অধিক লোক অংশগ্রহণ করেন বলে দাবি করা হয় । হাইড পার্ক থেকে শুরু হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে এসে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে গণ-পদযাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় । এই গণ পদযাত্রায় ইউকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের এক হাজারের অধিক ভলান্টিয়ার এবং মিডিয়া সেলের শতাধিক সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন ।