বুথফেরত জরিপ : দ. কোরিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
পার্লামেন্টে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করার আশা থাকলেও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল সায়েনুরি পার্টির সে আশা বোধহয় পূরণ হচ্ছে না। বুধবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিরোধীদের থেকে সামান্য এগিয়ে থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে দলটি। দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনের বুথফেরত জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
বুধবার ৩০০ আসনবিশিষ্ট আইনসভার ২৫৩ জন প্রতিনিধিকে বাছাই করতে প্রায় ১৪ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বাকি ৪৭টি আসনে বিভিন্ন দলের পাওয়া সর্বমোট ভোটের অনুপাতে দলগুলোর মধ্যে আসন বণ্টন করা হবে। পার্লামেন্টের মোট আসনের পাঁচ ভাগের তিন ভাগই জিতে নেওয়ার আশা করছিল সায়েনুরি পার্টি। আর তা সম্ভব হলে সায়েনুরি পার্টির জন্য পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন ও পাস করা সহজ হতো। বর্তমানে পার্লামেন্টে দলটির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও তা বিপুল নয়।
দ্য কোরিয়া টাইমসের খবরে বলা হয়, সরকারি দল যদি ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তবে তা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ ২০ মাসের মধ্যে তার ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আর তাই পার্লামেন্টে দলের আধিপত্য থাকলে নিজের মেয়াদকালেই বিভিন্ন আর্থিক ও শ্রম আইনে সংস্কার আনতে পারবেন তিনি।
এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার সম্পর্কে সাধারণের অনুভূতির ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। বহির্বিশ্বের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচনি ইস্যুতে উত্তর কোরিয়া প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হলেও বাস্তবে তা হয়নি। সবকিছু ছাপিয়ে এবার নির্বাচনি ইস্যু হিসেবে অর্থনীতিই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।
কর্মীদের ছাটাইয়ের উপায় নিয়োগকারীদের জন্য সহজ করে দেওয়ার পরিকল্পনার কারণে অর্থনীতি ইস্যুটি গুরুত্ব পেয়েছে। বিক্ষোভের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগও রয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার গড় বেকারত্বের হার ৫ শতাংশকে ছাপিয়ে ফেব্রুয়ারিতে বেকারতের হার ১২.৫ শতাংশ হওয়ায় তা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে।