জাপানে জোড়া ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৯, আহত সহস্রাধীক
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল ভূমিকম্পে অন্তত ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবারের দু’দফা ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও সহস্রাধীক ব্যাক্তি। বেশ কিছু বাড়িঘর ধসে পড়া ছাড়াও বৈদ্যুতিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ওই ভূমিকম্পে। ধ্বংসস্তুপের নিচে এখোনো কেউ কেউ আটকা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। বন্ধ রয়েছে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কিউশু দ্বীপের মধ্যাঞ্চল কুমামোটোয় ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৬.৪। এর প্রায় ৪০ মিনিট পর ৫.৬ মাত্রার পরাঘাত (আফটার শক)হয়। এর কিছু সময় পর মধ্যরাতে দ্বিতীয়বার পরাঘাত হয়।
ভূমিকম্পে কুমামতো ও কিয়েশু অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক বাড়ি ঘর ধসে পড়ে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তাঘাট। এই শক্তিশালী ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া ভবনগুলোর নিচে আটকা পড়ে বহু মানুষ। তাদের উদ্ধারে সরকারের বিভিন্ন বাহিনী রাতভর উদ্ধার অভিযান চালায়।
কুমামতোর পুলিশ কর্মকর্তা হিরোনাকি কোসাকি জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তারা নয়জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী।
ভূমিকম্পের আতঙ্কে কুমামোতো নগরের নিকটবর্তী মাসিকি শহরের প্রচুর মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান।অন্তত ১৬ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ও ৩৮ হাজার বাড়িতে গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে মাত্র দুইজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেলেও পরে উদ্ধারকর্মীরা কাজ শুরু করলে নয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।
তবে ভূমিকম্পে কিউশু দ্বীপের দুইটি পরমাণু চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানানো হয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে আরো দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
বিশ্বের ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে জাপান একটি। এ দেশে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ২০১১ সালে জাপানে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে ১৮ হাজার লোকের প্রাণহানি হয়। ভয়াবহ সুনামিতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুকুশিমা পারমাণবিককেন্দ্র।