হামলা-সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন: পুলিশের একজন সদস্য নিহত, রবিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
ডেস্ক রিপোর্টঃ বিএনপি’র মহাসমাবেশস্থলের কাছাকাছি বিজয়নগর এলাকায় দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। ঠিক কী কারণে সংঘর্ষের সূত্রপাত তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে আমাদের রিপোর্টার কাজী সুমন ও কিরণ শেখ জানান, পল্টন মোড়ের পর থেকে বিজয়নগর হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত সড়কে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে। পুলিশ পানির ট্যাঙ্কির আশপাশের গলিতে অবস্থান নিয়ে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। নাইটিঙ্গেল মোড়ের আশপাশেও ধোয়া উড়তে দেখা গেছে। সংঘর্ষের খবর আসায় বিএনপি’র সমাবেশস্থলেও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মঞ্চ থেকে নেতাকর্মীদের শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে। মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। বেলা ৩টার দিকে নয়াপল্টনের মহাসমাবেশস্থলের মঞ্চ থেকে হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে দলের মিডিয়া সেল থেকে এই তথ্য প্রচার করা হয়।
বিএনপি-জামায়াতের সাথে সংঘর্ষে পুলিশের একজন সদস্য নিহত
‘পুলিশ কনস্টেবলের মাথায় কোপানো হয়েছে’
শনিবার বিএনপি ও জামায়াতের সাথে সংঘর্ষে পুলিশের একজন কনস্টেবল নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ফারুক হোসেন বিবিসিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ওই পুলিশ সদস্যের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। দুপুর দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
“ওই পুলিশ সদস্য দৈনিক বাংলা মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিএনপি- জামায়াতের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে” – বলছেন মি. হোসেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।
নিহত সদস্যের মাথায় আঘাতের চিহ্ন এবং পোশাক ছেড়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।