বাঙ্গালীর হাজার বছরের স্বাধীনতার স্বপ্ন নির্যাস ২৬ মার্চ
২৬ র্মাচ, আমাদরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দবিস। অগ্নঝিরা র্মাচ মাস বাঙালরি হাজার বছররে স্বাধীনতা সংগ্রামরে স্বপ্ন নর্যিাস । ১৯৭১ সালরে এ মাসে তীব্র আন্দোলনরে পরণিততিে শুরু হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ। বাংলার আন্দোলন-সংগ্রামরে ঘটনাবহুল ও বদেনাবধিূর স্মৃতবিজিড়তি ১৯৭১-এর এ র্মাচ মাসইে জাতরি জনক বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমানরে নতেৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। পাকস্তিানি বাহনিীর বরিুদ্ধে র্দীঘ ২৩ বছররে আন্দোলন-সংগ্রামরে চূড়ান্ত র্পবে এসে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তযিুদ্ধ। র্দীঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধরে পর বশ্বি মানচত্রিে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদশে নামক স্বাধীন-র্সাবভৌম রাষ্ট্ররে।
দশেরে প্রতটিি শহর, প্রতটিি গ্রাম, প্রতটিি মহল্লায় প্রায় সব মানুষ এক মন, এক প্রাণ হয়ে শপথ নয়িছেলি-‘আমরা স্বাধীন’। এর ব্যতক্রিম ছলি অতি মুষ্টমিয়ে দাসমনা, পাকস্তিানি প্রভুদরে পদলহেনকারী রাজাকার-আলবদর- আল সামসসহ দশেদ্রোহী একটি চক্র। যারা আজও স্বাধনি বাংলাদশেরে লাল সবুজ পতাকায় তাদরে সইে কালো ছোবল মারার অপপ্রয়াসে লপ্তি।
রাজনতৈকি প্রক্ষোপটে বাঙালরি জীবনে নানা কারণে এ মাস অর্ন্তনহিতি শক্তরি উৎস। অসংখ্য ঘটনার উজ্জ্বল সাক্ষী। এ মাসইে বাংলাদশেরে স্বাধীনতা ঘোষণা করনে জাতরি পতিা বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমান। ১৯৫২ সালরে একুশে ফব্রেুয়ারি ভাষার জন্য যে আগুন জ্বলে উঠছেলি সে আগুন যনে ছড়য়িে পড়ে বাংলার র্সবত্র। এরপর যুক্তফ্রন্ট নর্বিাচন, আইয়ুব বরিোধী ’৬২- এর শক্ষিা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা এবং ঊনসত্তররে গণঅভ্যুত্থানরে সিঁড়ি বয়েে একাত্তররে র্মাচ বাঙালরি জীবনে নয়িে আসে নতুন বারতা।
১৯৭১ সালরে ২৬ র্মাচ স্বাধীন বাংলাদশেরে প্রতষ্ঠিা হলওে চূড়ান্ত আন্দোলনরে সূচনা হয়ছেলি একাত্তররে ১ র্মাচ থকেইে। আর এতে নতুন র্বাতা যোগ করে বঙ্গবন্ধুর ৭ই র্মাচরে ঐতহিাসকি ভাষণ। ১৯৭১ সালরে ২৫ র্মাচ রাতে পাকস্তিানি হানাদার বাহনিী নরিীহ নরিস্ত্র বাঙালরি উপড় যে র্ববর গণহত্যা চালয়িছেলি, সইে মৃত্যুর বভিীষকিা থকেে মাথা তুলে দাঁড়য়িছেলি দশেরে মুক্তপিাগল বীর সন্তানরা। জাতরি জনক বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমানরে নর্দিশেে অস্ত্র কাঁধে ঝাঁপয়িে পড়ছেলি রণাঙ্গন। আনুষ্ঠানকি সূচনা ঘটছেলি বাঙালরি সশস্ত্র মুক্তযিুদ্ধরে। ডাক এসছেলি দশেকে হানাদাররে কবল থকেে মুক্ত করার। আমার র্কণগোচর হয়ছেলি একাত্তুররে সইে বীরত্ব গাঁথা, কীভাবে রক্তস্নাত সংগ্রামরে মধ্য দয়িে বাংলাদশে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হসিবেে বশ্বিরে বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়য়িছেলি।
মাঝরাতইে পাকস্তিানী সনোবাহনিী ট্যাঙ্ক নয়িে হামলা চালয়িে ঢাকায় হাজার হাজার সাধারণ নাগরকি, ছাত্র, শক্ষিক, বুদ্ধজিীবী, বাঙালি পুলশি হত্যা করছে।
রাজধানী ঢাকাসহ পুরো র্পূব পাকস্তিান তখন জ্বলছ ধ্বংসলীলা চালয়িে যাচ্ছে পাকস্তিান সনোবাহনিী। নর্বিচিারে ভারী ভারী মারণাস্ত্র দাগয়িে ঘর বাড়, বস্ত, গ্রাম মাটতিে মশিয়িে দচ্ছি। হত্যা করে চলছেে ছলে, বুড়ো, যুবক- হাজার হাজার লাখ এবং লাখ। ২৫ র্মাচ রাত থকেে ‘অপারশেন র্সাচলাইট’ শুরুর মাধ্যমে যে হত্যা তারা শুরু করছেলি তা মুক্তযিুদ্ধরে ৯ মাস হংিস্রভাবে চালয়িে গয়িছে। তাদরে সহযোগী ছলি জামায়াতে ইসলাম, আল বদর ও রাজাকার বাহনিী। ৩০ লাখ মানুষকে তারা হত্যা করছেে এবং বভিন্নি সুত্র মতে প্রায় সারে ৪ লাখ মা বোনকে পাশবকি নর্যিাতন করছে।
২৫ র্মাচ রাতে গ্রপ্তোর হওয়ার আগইে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দয়িছেলিনে। তার ডাকে সাড়া দয়িে নরিস্ত্র বাঙালরিা যভোবে একটি সুশৃঙ্খল অত্যাধুনকি সমরাস্ত্রে সজ্জতি সামরকি বাহনিীর বরিুদ্ধে রুখে দাঁড়য়িছেলি, পৃথবিীর ইতহিাসে তার দৃষ্টান্ত বরিল।
১৯৭১ সালরে ৭ র্মাচরে বঙ্গবন্ধুর ঐতহিাসকি ভাষণরে মধ্যে দয়িইে বাংলাদশে যে মুক্তযিুদ্ধরে দকিে ধাবতি হতে চলছেে সমগ্র জাতীর মধ্যে সে বোধ তরৈি হয়ছেলি। সদেনিরে ভাষণ শোনার পর কোনো বাঙালরি মনইে আর দ্বধিা রইল না। সদেনি থকেইে সারাদশেরে মানুষ প্রস্তুতি নতিে থাকল স্বাধীনতার জন্য। সে ধারাবাহকিতায় ২৬ র্মাচ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা তাই প্রত্যাশতি ছলি। সদেনি থকেে এ দশেরে মুক্তকিামী মানুষ মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দয়িে অংশ নলি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ।
বাংলাদশেরে জনগনরে প্রতি পাকস্তিানী শাসকচক্ররে নানাবধি বমিাতাসুলভ বষৈম্যরে সর্ম্পকে যাদরে কখনো কোনো ধারণা ছলি না, গ্রামরে সইে খটেে খাওয়া দনি মজুর কৃষক তারাও পাকস্তিনরে বরিুদ্ধে স্বাধীনতার দাবতিে সোচ্চার হয়ে ওঠ। মুক্তি সংগ্রামে সক্রয়ি অংশগ্রহণ করে দশেরে বভিন্নি শ্রণে-িপশোর অগণতি মানুষ। যারা সরাসরি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করার সুযোগ পায়ন, তারা মুক্তযিোদ্ধাদরে খাবার দয়ি, আশ্রয় দয়ি, বভিন্নি তথ্য দয়িে সাহায্য করছেলি। ২৫ র্মাচরে মধ্যরাতে গণহত্যা চালানোর মধ্য দয়িে পাকসনোরা ঢাকার র্কতৃত্ব গ্রহণরে পর সারাদশেে তাদরে নয়িন্ত্রণ প্রতষ্ঠিার কাজে রত হয়ে প্রতটিি জলোয় ও মহকুমায় প্রবশে করতে থাক।ে এবং কছিু কছিু শহর ও থানাগুলো সহজইে তাদরে দখলে নয়িে যায়। ফলশ্রুততিে প্রতরিোধ গড়ে তুলে মুক্তযিোদ্ধারা। সারা দশেরে বভিন্নি এলাকায় বাংকার করে পাকসনোরা দশেীয় রাজাকার আলবদর আর শান্তি কমটিরি সহায়তায় আশপাশরে গ্রামে ময়েদেরে উপর অত্যাচার, বাড়ঘির পোড়ানো, গরু-ছাগলসহ মূল্যবান দ্রবাদি লুটপাট শুরু কর। শুরু থকেইে বীর বাঙ্গালী এবং মুক্তযিোদ্ধারা সারা দশেব্যাপী সশস্ত্র প্রতরিুধ গড়ে তুল।
একাত্তররে মুক্তযিুদ্ধ শুধু বাংলাদশেরে ইতহিাসে নয়, বশ্বিওে ছলি সাড়া জাগানো একটি ঘটনা। শুধু মুক্তযিুদ্ধরে মাধ্যমে বাংলাদশেরে স্বাধীনতা র্অজতি হয়ন। এ জন্য র্দীঘদনি আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়ছে। বাংলাদশেরে স্বাধীনতা সংগ্রামরে র্দীঘ এ পথপরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু দুঃসাহসকি ভূমকিা পালন করনে। মৃত্যুকে তুচ্ছ ভবেে তনিি এগয়িে গছেনে অবচিল চত্তি। এ
জন্যই তনিি বাংলাদশেরে স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ। ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’, ‘বাঙালরি স্বাধকিার’, ‘জয় বাংলা’, ‘মুক্তযিুদ্ধ’, ‘স্বাধীন বাংলাদশে’- যাই বলি না কনে এগুলোর অপর নাম ‘বঙ্গবন্ধু’। লাল-সবুজরে পতাকায় তনিি হয়ে আছনে চরিস্মরণীয়। আজ বশ্বিব্যাপী যখোনইে মুক্তরি সংগ্রাম, সখোনইে অনুপ্ররেণা বঙ্গবন্ধু। স্বাধনি বাংলাদশেরে মহান স্থপত, জাতরি জনক বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমানরে ৭ই র্মাচরে ঐতহিাসকি ভাষন আজ বশ্বি সমাদৃত, যে ভাষনরে মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধনিতার ডাক দয়িছেলিনে, ‘যার যা কছিু আছে তাই নয়িে শত্রুর মোকাবলিা করতে হব’ে এবাররে সংগ্রাম, মুক্তরি সংগ্রাম , এবাররে সংগ্রাম , স্বাধনিতার সংগ্রাম’, জয় বাংলা । মুলত, ৭ই র্মাচরে পর থকেইে সারা দশে ব্যাপী স্বাধনিতার স্বপ্নে বভিোর বাংলার মানুষ প্রতরিোধ যুদ্ধে ঝাপয়িে পড়ে সারা দশেব্যাপী। শুরু হয় সশস্র সংগ্রাম ।
২৯ ডসিম্বের, ২০০৮ তারখিে নবম জাতীয় সংসদ নর্বিাচনরে মাধ্যমে বাংলাদশে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননত্রেী শখে হাসনিার নতেৃত্বে ক্ষমতায় আস। তাদরে নর্বিাচনী প্রতশ্রিতি ছলি যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার প্রক্রয়িা সম্পন্ন করা। আওয়ামী লীগ মুক্তযিুদ্ধে নতেৃত্বদানকারী রাজনতৈকি দল। তারা যখনই রাষ্ট্রক্ষমতায় এসছে, তখনই মুক্তযিুদ্ধরে প্রকৃত ইতহিাস ঠাঁই পয়েছেে পাঠ্যপুস্তকসহ অন্যান্য মাধ্যম। সাল-তারখি-ঘটনাকন্দ্রেকি যে বকিৃতি স্বাধীনতাবরিোধীদরে সময় আমরা লক্ষ্য করছেলিাম, তা আওয়ামী লীগ সংশোধন করছে।
হাজার বছররে শ্রষ্ঠে বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমানরে নতেৃত্বে স্বাধীনতা লাভ ও বাংলাদশে প্রতষ্ঠিার মৌলকি ধারণা ছলি র্ধমনরিপক্ষেতা, শোষণহীন সমাজ গঠন ও গনতান্ত্রকি মূলোবোধ প্রতষ্ঠিার মাধ্যমে এ দশেরে র্অথনতৈকি মুক্তরি মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতষ্ঠিা। যে নীতি অনুসরণ করে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিা এগয়িে চলছনে। দশে রত্ন শখে হাসনিার নতেৃত্বে বগিত ১৫ বছররে র্অজন, আজ বাংলাদশে একটি উন্নয়নশীল দশে। বশ্বি মানচত্রিে আজ মাথা উচু করে দাঁড়াতে চলছেে বাংলাদশে।
উন্নয়ন, সমৃদ্ধি , অগ্রগতরি চলমান ধারাকে সমুন্নত রখেে একটি আত্মনর্ভিরশীল সুখী, সমৃদ্ধশালী , ডজিটিাল বাংলাদশে বনির্মিাণে বশ্বি মানবতার নত্রেী, দক্ষনি এশয়িার উন্নয়নরে কংিবদন্তী, বাংলার গন মানুষরে অবসিংবাদতি নত্রেী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননত্রেী শখে হাসনিার বকিল্প নইে।
আজকরে স্বাধীনতা দবিসরে অঙ্গীকার হউক আগামীর উন্নত বাংলাদশেরে জন্য ডজিটিাল তথ্য প্রযুক্ত, অবকাটামোগত উন্নয়ন ও র্অথনতৈকি সম্রদ্ধি নশ্চিতিকরণরে লক্ষ্যে সম্মলিতি ভাবে কাজ করার। দশেরে র্বতমান উন্নয়নরে ধারাবাহকিতা অব্যাহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননত্রেী শখে হাসনিার হাতকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও শক্তশিালী এবং দশেী-বদিশেী সকল ষড়যন্ত্রকারীকে প্রতহিত করতে হব।
এক সাগর রক্তরে বনিমিয়ে র্অজতি স্বাধীন দশেে আজ স্বস্তি পাই যখন দখে, র্বতমান সরকাররে সময়ে একাত্তররে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবরিোধী অপরাধে অভযিুক্তদরে বচিাররে মুখোমুখি করে রায়ও র্কাযকর হয়ছে। যে প্রক্রয়িা এখনো অব্যাহত রয়ছে। আমরা মনে কর, স্বাধীনতাবরিোধীদরে বচিারপ্রক্রয়িা দশেকে মুক্তযিুদ্ধরে চতেনার ধারাতইে কবেল ফরিয়িে নয়িে যায়ন; এর মধ্যদয়িে এটাও প্রমাণ হয়ছে-ে মুক্তযিুদ্ধরে চতেনা অনর্বিাণ। আজকরে এই মহান স্বাধীনতা দবিসে জাতরি পতিা এবং তাঁর সহর্কমী স্বাধীনতা যুদ্ধে সফল নতেৃত্ব প্রদানকারী জাতীয় নতোদরে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাই। আজকরে স্বাধীনতা দবিসে বনিম্র শ্রদ্ধা জানাই তাঁদরে প্রতি যাদরে রক্ত আর ইজ্জতরে বনিমিয়ে আমরা আজ ‘স্বাধীনতা দবিস’ উদযাপন করছ, তাদরে স্মৃতি ও অবদানরে প্রতি জাতরি অতল শ্রদ্ধা।
ডক্টর আনছিুর রহমান আনছিঃ লখেক, আইন গবষেক , মানবাধকিার র্কমী।
বিশেষ প্রতনিধিঃ সাপ্তাহকি বাংলা সংলাপ
তারখিঃ র্মাচ ২০২৪।