ইংল্যান্ডের রচডেল কাউন্সিলে যুক্ত হলো বাংলা
ডেস্ক রিপোর্টঃ অবশেষে রচডেল কাউন্সিলের টাউন হলের ওয়েলকাম বোর্ডে বাংলা যুক্ত হলো। অন্যান্য ভাষার সাথে বাংলায় ‘স্বাগতম’ লেখাটি এখন শোভা পাচ্ছে। প্রায় ১৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে সংস্কার হওয়া টাউন হলটির পুরনো বোর্ডে বাংলা ছিলো কিন্তু নতুন বোর্ডে বাংলা বাদ পড়ার বিষয়টি উঠে আসে আইকে টিভির অনুসন্ধানে। রিপোর্টার ইব্রাহিম খলিল গত বুধবার এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে কমিউনিটিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকে কাউন্সিলে লিখিত প্রতিবাদ, ইমেইল বার্তা এবং ফোন করেন। এর জেরে কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ দ্রুত বোর্ডটি অপসারন করে অফিশিয়ালী দু:খ প্রকাশ করে। কাউন্সিলের চীফ এক্সিকিউটিভ স্টীভ রামবিলো লিখিত দু:খ প্রকাশ করে বাংলা সংযুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
জানা যায়, ১৮৭১ সালে নির্মিত হয়েছিলো রচডেলের নজরকাড়া টাউন হল। তখনকার সময়ে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে অত্যাধুনিক স্থাপত্যশৈলির মধ্যে অন্যতম ছিলো এটি। এর নির্মাণ ব্যয় হয়েছিলো তৎকালীন সময়ে ১’শ ৫৫ হাজার পাউন্ড। প্রায় দেড়’শ বছরের পুরনো এই টাউন হলটি সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে ১৬ মিলিয়ন পাউন্ডে। সংস্কার শেষে জন সাধারনের জন্য ভবনটি উম্মুক্ত করা হয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ এসে ভবনটি পরিদর্শন করছেন।
এই টাউন হলটি ব্যাপক আলোচিত ও পরিচিত ব্রিটেনে এ জন্য যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের সময় টাউন হলটি দখল করতে চেয়েছিলেন এডলপ হিটলার। তিনি এখান থেকে ব্রিটেন শাসন করতে চেয়েছিলেন।
গ্রেটার ম্যানচেষ্টারের ছোট একটি শহর রচডেল। ৬৫ বছর আগে কটন মিলে কাজের সুবাদে রচডেলে পাড়ি জমিয়েছিলেন বাংলাদেশীরা। প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশীদের বসবাস এই শহরে। এথনিক কমিউনিটি হিসেবে রচডেলে পাকিস্তানীদের পরেই অবস্থান বাংলাদেশীদের। রচডেল কাউন্সিলে বাংলাদেশী অরিজিন একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধি হলেন কাউন্সিলার সৈয়দ আলী আহমদ। তিনি গত মেয়াদে রচডেলের সিভিক মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগেও লেবার পার্টি থেকে কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছিলেন ফারুক আহমেদ এবং শেফালী আহমেদ।