পপলার রিভারসাইড-এ নতুন ঘর পাচ্ছে ২১৯টি পরিবারঃ পরিদর্শন করলেন মেয়র লুৎফুর
এই প্রকল্পে সব মিলিয়ে এফোরডেবল হোমস্ হবে ৬৪৩টি
টাওয়ার হ্যামলেটস বারার পপলার রিভারসাইড হাউজিং প্রজেক্টে বর্তমানে প্রায় ২১৯টি পরিবার নতুন ঘর পাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক পরিবার এই এফরডেবল রেন্টের অর্থাৎ সাশ্রয়ী ভাড়ায় ঘর পেয়েছেন।
পপলার রিভারসাইড হাউজিং প্রজেক্ট হচ্ছে ইস্ট লন্ডনের একটি বড় ও আকর্ষনীয় উন্নয়ন প্রকল্প, যেখানে সর্বমোট ২৮০০ ঘর নির্মিত হবে এবং ৪টি ভবনে মোট ৬৪৩টি এফেরডেবল হাউস সোস্যাল হাউজিং এর বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
বৃহৎ এই প্রকল্পের প্রথম ধাপের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান।
সোশ্যাল হাউজিং এসোসিয়েশন পপলার হারকার সাথে পার্টনারশিপে বিখ্যাত নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বাকলি হোমস এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
পরিদর্শনকালে বারার নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের বারায় সবচেয়ে বেশী চাহিদা দুই, তিন বা চার বেডরুমের ঘর। এর অভাবে হাজার হাজার পরিবার চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পপলার হারকার মতো সোশ্যাল হাউজিং এসোসিয়েশন গুলো এই সমস্যা সমধানে বড় সাইজের অর্থাৎ বেশি রুমের ঘর/ফ্ল্যাট নির্মাণে কাউন্সিলের সাথে কাজ করছে।
মেয়র নবনির্মিত দুটি ঘর ঘুরে দেখেন এবং এর নতুন বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন।
সোহানা বেগম নামের এক বাসিন্দা তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আমার পুরো পরিবার দারুন খুশী। ১০ বছর অপেক্ষা করে ৩ বেড রুমের ঘর পেয়েছি। আমার মেয়ে এ লেভেল পডছে। আগামীতে ভার্সিটিতে যাবে। একটা আলাদা রুম তার জন্য খুব সুবিধা হবে।”
অনুষ্ঠানে পপলার হারকা’র সিইও স্টিভ স্ট্রাইভ, বাকলি হোমস – এর ডিরেক্টর সহ বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তা অংশ নেন। এসময় কাউন্সিলর জাহেদ চৌধুরী ও কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পপলার রিভারসাইড হবে অনন্য ডেভেলপম্যান্ট। এর ৫০ ভাগ হচ্ছে গ্রিন স্পেস অর্থাৎ উন্মুক্ত খোলা জায়গা। থাকছে আড়াই একরের একটি পার্ক, ৫শ মিটার রিভারসাইড ওয়াকওয়ে ও চিলড্রেন এডভেঞ্চার প্লেগ্রাউন্ড।