স্কটল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষাগত সম্পর্ক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিবে স্কটিশ পার্লামেন্টের বাংলাদেশ বিষয়ক ক্রস-পার্টি গ্রুপ

Spread the love

স্কটিশ পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশ বিষয়ক ক্রস পার্টি গ্রুপের (সিপিজি-বাংলাদেশ) সভা। পার্লামেন্টের মিটিং রুম ১ এ অনুষ্ঠিত সভায় স্কটীশ বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবৃন্দ যোগ দেন।

সিপিজি – বাংলাদেশ এর কনভেনর লোদিয়ান এমএসপি ফয়ছল চৌধুরী এমবিই- র পরিচালনায় উক্ত সভায় অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন  ডেপুটি আহ্বায়ক মাইলস ব্রিগস এমএসপি, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কটল্যান্ডের পরিচালক পিটার ব্রাউন, স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ফেলো ড. ইব্রাহিম রশিদ ।

সভায় এমএসপি ফয়ছল চৌধুরী এমবিই এবং এমএসপি ব্রিগস বিগত কার্যক্রমের নানা অগ্রগতি তুলে ধরতে গিয়ে বলেন যে, তারা ইতিমধ্যে স্কটিশ বিশ্ববিদ্যালয় গুলির সাথে কথোপকথন শুরু করেছেন এবং বিশেষত কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ফিশিং সেক্টরে  শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা মুলক নানা দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রমের সম্ভ্রবতা নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।

এমএসপি ফয়ছল চৌধুরী এমবিই বলেন, “সিপিজি স্কটল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশিষ্ট বিষয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলতে কাজ করে যাবে”

“স্কটিশ এবং বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় গুলির মধ্যে একটি শিক্ষাও গবেষনা বিনিময় কর্মসুচী চালু করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী, সেক্ষেত্রে ঢাকায় বিভিন্ন স্কটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাম্পাস চালু হতে পারে। আমরা ইতিমধ্যে স্কটিশ ইউনিভার্সিটি এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ শুরু করেদিয়েছি। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশী হাই কমিশনার সাইদা মুনাতাসনিমের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা চলমান রয়েছে”

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বক্তব্য প্রদান কালে বাংলাদেশ সরকার কতৃক সাম্প্রতিক কালে গৃহীত নানা জাতীয় উন্নয়ন কর্মসুচী সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন সফরে যান এবং ১৯৭১ সালে মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলেছিলেন। এই ঐতিহাসিক সফর ছিল একটি বড় পদক্ষেপ। এর সাধারণ মূল্যবোধের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্য এবং স্কটল্যান্ডের সাথে মহান বন্ধুত্বে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা বিষয়সমূহের দিকগুলো কথা বলেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বিগত ৫২ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

২০২৩ সালে সিপিজি কতৃক বাংলাদেশ ভিজিট পরবর্তী কালে স্কটল্যান্ড-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে নানা উল্লেখ যোগ্য অগ্রগতির ব্যাপারে আলোকপাত করেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ হযরত আলী খান, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর তানভীর মোহাম্মদ আজিম, সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা উইং কমান্ডার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ও কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মৌমিতা জিনাত।


Spread the love

Leave a Reply